ইতালিতে বাস করেন এমন একজন বোনের সাথে ঘটা ঘটনার বিবরণ পাওয়া গেছে রোমে বসবাসকারী মুহাম্মদ আল আমিন ভাইয়ের লিখনীতে। তিনি একজন সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী। উনার পরিচিত জনের সাথে ঘটনা নিয়ে সতর্কতা মূলক আজকের সংবাদ টি সকলের মনোযোগের জন্য উপস্থাপন করছি।নিউজটি আপনি পড়ে অন্য জনকে সাবধান করার জন্য আপনার ওয়ালে শিয়ার করার অনুরোধ রইল। নিন্মে আল আমিন ভাইয়ের লিখাটি হুবহু তোলে ধরা হয়েছেঃ
দূতাবাসের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারক চক্রের নতুন ফাঁদ
গত কিছুদিন আগে এক ভাবী বাসে করে তার কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। বাসে তেমন জ্যাম না থাকলেও অভিনব কায়দায় ভাবীর হাত ব্যাগ থেকে ডকুমেন্ট সহ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। ডকুমেন্ট খোয়া যাওয়ার পর স্থানীয় থানায় বিষয়টি অবহিত করা হয়, সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ডকুমেন্ট গুলোর ছবি সহ হারানো বিজ্ঞপ্তি হিসেবে একটি ষ্ট্যাটাস দেয়। কারন অনেক সময় এ ধরনের বিষয়ে চোর টাকা পয়সা নিয়ে ডকুমেন্টগুলো রাস্তায় ফেলে দেয়। যাই হোক , এই দূর্বলতার সুযোগে প্রতারক ভাবীর হাজব্যান্ডকে কল করে এবং বলে উনি ডকুমেন্টগুলো পেয়েছে। এবং পরিচয় হিসেবে বলে, উনি বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা। গত পরশু (১৫/৪/২১) রাতে কল করে বলে, কাল আমার পিএস তরপিনাত্তারা যাবে ডকুমেন্টগুলো দিতে, আপনি আমাকে একটু উপকার করেন, আমার এই মুহুর্তে বাংলাদেশে ৪০ হাজার টাকা লাগবে, দেয়ার ব্যাবস্থা করে দেন, কারন আমি নিরাপত্তার কারনে বাসা থেকে বের হতে পারছি না। ভাবী তখন বললো, এখন আমি কিভাবে দিব, তবে আমার এক ভাই আছে, তাকে বলি টাকা সেন্ড করা যাবে কিনা। পরক্ষনেই আমাকে বলতে মুহাম্মদ আল আমিন রোমে মানিগ্রাম সহ আরো কয়েকটি ব্যবসার কর্ণধার। ভাবী কল দিলে লাউড স্পিকারে আমি তার সাথে কথা বলি। প্রতারক আমাকে বলে আপনি টাকা সেন্ড করে দেন, আমি আপনার একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দিচ্ছি। আমি বললাম, এখন রাত সাড়ে দশটা, আমি এখন বাসায়, আর বাসা থেকে কোন টাকা সেন্ড করা যায় না। আপনি যদি আমার একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেন, এবং যখন এভেইলেবল হবে, তখন আমি সেন্ড করবো। চতুর প্রতারক তখন বললো, আমি যদি আপনাকে ইউরো দেই তখন বিকাশ করতে পারবেন না ? আমি বলালাম হ্যা পারবো, তবে তা আগামীকাল , আজ না। এই বলে তার সাথে কথা শেষ হয়ে যায়। ঐ দিকে টাকার জন্য পরেরদিনও বারংবার যখন চাপ দিচ্ছিল, তখন ভাই এবং ভাবীর বুঝতে বাকি থাকলো না, সে এক মহা প্রতারক। এ ধরনের প্রতারক থেকে সাবধান।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/১৮ এপ্রিল/জই