জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সে লর:ওলাফ শলৎস।আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে জার্মানির অভিবাসন নীতি পরিবর্তনের যে কথা রাজনৈতিক দলগুলো বলছে তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷সম্প্রতি এক নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়ে সিডি ইউ/সিএসইউ এর এমন অবস্থানের সমালোচনা করে ছেন চ্যান্সেলর৷ তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলটি বাস্ত বতা বুঝতে পারছে না বলেই এমন কথা বলছে৷
জার্মান রাজনীতিতে অভিবাসন এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু৷ ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে এই ইস্যুটি ভোটের মাঠে বেশ প্রভাব রাখবে৷ বর্তমানে জনমত জরিপে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) চেয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল সিডিইউ/সিএসইউ এগিয়ে রয়েছে৷এরইমধ্যে তারা বর্তমান সরকারের অভিবাসন নীতিকে পাল্টে দেয়ার কথা জানাচ্ছেন বিভিন্ন সমাবেশ ও রাজনৈতিক প্রচারে৷
রাজধানী বার্লিনে দলের প্রধান কার্যালয়ে পাঁচশ প্রতিনিধির সামনে চ্যান্সেলর বলেন, জার্মানি দীর্ঘকাল ধরে অভিবা সনের দেশ৷ তিনি আরো বলেন, এই দেশটির ২৫ লাখ নাগরিকের অভিবাসনের ইতিহাস রয়েছে৷ শলৎস বলেন, ‘‘আমি আজকে আমার হৃদয়ের গভীর থেকে আপনাদের সবাইকে বলতে চাই যে, আমরা প্রতিবেশী হয়ে বা সহকর্মী হয়ে, স্কুলের সহপাঠী কিংবা স্পোর্টস ক্লাবের বন্ধু হয়ে একসঙ্গে থাকতে চাই৷ কারণ, আমরা সবাই জার্মানির অংশ৷’’
চ্যান্সেলর পদে সিডিইউ/সিএসইউ-এর প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জার্মানি অনেক আগেই ‘‘ফ্রিডরিশ ম্যারৎস এবং তার অনুসারীদের’’ চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে৷ তবে জনমত জরিপগুলোয় দেখা যাচ্ছে, সাধারণ নির্বাচনে রক্ষণশীলেরা এগিয়ে রয়েছে৷ বর্তমানে জার্মান ভোটারদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সিডিইউ/সিএসইউ-কে সমর্থন দিচ্ছে৷
এই এক-তৃতীয়াংশ ভোটার অভিবাসন ইস্যুতে বর্তমান সরকারের বিরোধিতা করলেও অতি ডানপন্থি অল্টার নেটিভ ফর জার্মানিকে (এএফডি) ভোট দিতে ইচ্ছুক নয়৷ এদিকে, ২০২৩ সালে জার্মানিতে তিন লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন৷নভেম্বরের শুরুর দিকে জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের পতনের পর ডিসেম্বরে আস্থা ভোটের কথা রয়েছে৷ আর ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে৷
bdnewseu/3December/ZI/politics