বওলা গ্রামবাসির কষ্টের শেষ নেই একটি সেতুর অভাবে
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নের বওলা গ্রামের বংশাই নদের উপরে একটা ব্রিজ এমন একটি দাবির নাম। বহু প্রত্যাশিত এ দাবি পূরণ না হওয়ায় কয়েক গ্রামের মানুষ সাঁকো দিয়ে পারাপারে দীর্ঘদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।বাঁশের সাঁকোর পারাপারে কষ্টে আছে এ অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও।
ধনবাড়ীর যদুনাথপুর ইউনিয়নের বওলা গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে বংশাই নদী। এর পশ্চিম পাশ বওলা গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পূর্ব পাশ ‘পার বওলা’ নামে পরিচিত। এ পারের উত্তর- পূর্বে আমিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
বওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান জানান,বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পারাপার হয়ে ক্লাস করতে হয়।
শিক্ষক জামিল হোসেনসহ স্থানীয়রা জানান, দুই পাশের মানুষের বংশাই পারাপারে অত্যাবশ্যক সেতু। উপজেলা চেয়ারম্যান,ইউপি চেয়ারম্যান করে দিতে চেয়েছেন। কিন্তু হাজারো মানুষের স্বপ্ন ও প্রাণের দাবির সেই “সেতু” নির্মাণ উপেক্ষিত বহুদিন ধরে। প্রতি মৌসুমে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দীর্ঘদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হন এলকাবাসী। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে গিয়ে শিশু শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও রোগীরা পড়েন বিপাকে। মাঝে মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। নদীর একপারে বাজার। সাপ্তাহিক হাট বসে নেটামশরায়। কৃষি প্রধান আশপাশের গ্রাম গুলোর কৃষিপণ্য এই বাজারে তুলতেও দুর্ভোগ পোহাতে হয় কৃষকদের।
সিঙ্গাপুর ফেরত স্থানীয় বাসিন্দা সুজন নামের যুবক জানান, বংশাই নদের উপর এ গ্রামের একটা ব্রিজ থাকলে কষ্ট লাঘব হতো এমন স্বপ্ন দেখে যাচ্ছেন বওলাসহ আশপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষ। জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা বছর বছর সেতু’র স্বপ্ন দেখান। ‘মন্ত্রীকে(স্থানীয় সংসদ সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক (এমপি ) বলে সেতু তৈরির ব্যবস্থা করা হবে’ বললেও হচ্ছে না। তবে
অতি তাড়াতাড়ি গ্রামবাসীর কথা ভেবে গ্রামবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করবেন আশা সকলের।
গ্রামের অশীতিপর আমির আলী (৯০) জানান, আশে পাশে দশ গ্রামের লোক ও স্কুল মাদরাসার ছাত্র ছাত্রীরা এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করেন। গ্রামবাসীর দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করতে এই নদীর উপর একটা ব্রিজ দাবি করেছেন তিনি।
যদুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর ফিরোজ আহমেদ বওলার এ ঘাটে সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেছেন। সুযোগ পেলে তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সেতুটি নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন বলে জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/২৬ অক্টোবর/জই