• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

প্রতিবেশী দেশ সমূহের সাথে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের নতুন করে উদ্যোগ

কবির আহমেদ কূটনৈতিক বিশ্লেষক আন্তর্জাতিক ডেক্স থেকে বিডিনিউজ ইউরোপ
আপডেট : মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

প্রতিবেশী দেশ সমূহের সাথে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের নতুন করে উদ্যোগ।দুই দেশের সীমান্ত অচলাবস্থার অবসানে অবশেষে ভারত-চীনের চুক্তি হয়েছে।সোমবার (২১ অক্টো বর) ভারতের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিক দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রাহ্মনিয়াম জয়শঙ্কর বলেন,ভারত ও চীন দুই দেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে টহলদারীর ক্ষেত্রে গত চার বছর ধরে যে অচলা বস্থা বিরাজ করছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসতে চুক্তি করেছে।সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর আরও বলেন, “আমরা চীনের সীমান্ত সংলগ্ন আমাদের অঞ্চলগুলোতে টহলের জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এখন থেকে সীমান্ত অঞ্চলে ভারত এবং চীনের সীমান্ত রক্ষীরা আগের মতোই টহল দিতে পারবেন। গত চার বছর ধরে এক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছিল, এই চুক্তির ফলে তা দূর হবে বলে আমরা আশা করছি।”

ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য হিমাচল এবং জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের লাদাখের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে চীনের। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল নয়াদিল্লি এবং বেইজিং। সেই চুক্তির প্রধান শর্ত ছিল যে সীমান্ত অঞ্চলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী ও সেনাদের কেউ আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখতে পারবেন না।

তারপর প্রায় ৬ দশক শান্ত থাকার পর ২০২০ সালের জুনে লাদাখের সীমান্ত অঞ্চল গালাওয়ানে বিরল এক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে চীন এবং ভারতীয় সেনারা। লাঠি সোঠা এবং ধারাল অস্ত্র হাতে পরস্পরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। সেই সংঘাতে অন্তত ২০ জন ভারতীয় এবং ৪ জন চীনা সেনা নিহত হয়েছিলেন।

এই ঘটনা ভারত এবং চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। সীমান্ত অঞ্চলেও এতদিন সেনা টহল দারী বন্ধ রেখেছিল দুই দেশ।এই চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্ম কর্তারা জানিয়েছেন, চুক্তির একটি শর্ত হলো সীমান্ত ঘেঁষে কোনো দেশ সেনা ছাউনি করতে পারবে না। পাশা পাশি বর্তমানে সীমান্তঘেঁষা যেসব সেনাছাউনি রয়েছে,সেগু লো সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এনডিটিভিকে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত চুক্তির শর্ত মেনে চলবে এবং নয়াদিল্লি আশা করছে, বেইজিংও তাই কর বে। আমরা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে ২০২০ সালে র আগের বাস্তবতায় নিয়ে যেতে চাই।”

উল্লেখ্য যে,ভারত তার প্রতিবেশী দেশ সমূহের সাথে
পুনরায় নতুন সম্পর্কোন্নয়নে বেশ উঠে পড়ে লেখেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি দীর্ঘ আট বছর পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রাহ্মনিয়াম জয়শঙ্কর সম্প্রতি ইসলামাবাদ সফর করেছেন।
bdnewseu/22October/ZI/india


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ