গ্রিসে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদ্যাপিত
বাংলাদেশ দূতাবাস এথেন্সে ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে উদযাপিত হলো শেখ রাসেল দিবস- ২০২১। এ উপলক্ষ্যে দূতাবাসে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন শুরু হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেল এঁর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও তাঁর সহধর্মিনী রেবেকা সুলতানা দূতাবাস পরিবারসহ প্রবাসী শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন। এ সময় গ্রিসে বসবাসকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
শহিদ শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করে শোনানো হয় এবং ক্ষণজন্মা শহিদ শেখ রাসেলের জীবন নিয়ে নির্মিত ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা পর্বে বক্তারা শহিদ শেখ রাসেলের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মেদ শেখ রাসেলের কথা স্মরণ করে বলেন, সদা হাস্যোজ্জ্বল শেখ রাসেল ছিলেন নিষ্পাপ শিশু। ৭৫-এর ঘাতকরা তাকেও রেহাই দেয়নি। আজ তিনি বেচে থাকলে, আমরা হয়তো একজন দূরদর্শী ও আদর্শ নেতা পেতাম। আলোচনায় অন্যান্য বক্তারাও শেখ রাসেলের শৈশব স্মৃতির কথা স্মরণ করেন এবং তাঁর মধ্যে লুকায়িত অসীম সম্ভাবনা আগামীর শিশুদের মধ্যে প্রতিভাত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহিদ শেখ রাসেলসহ তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী থেকে বাংলাদেশের মানুষ, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিশ্বমানবতার মুক্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
“মুজিববর্ষের কূটনীতি, প্রগতি ও সম্প্রীতি”
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/১৯ অক্টোবর/ জই