রাবি আইআর বিভাগের হ-য-ব-র-ল রেজাল্টের পূনর্মূল্যায়ন চায় ছাত্র ফেডারেশন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ১ম ব্যাচের মাস্টার্সের রেজাল্ট পূনর্মূল্যায়ন করার দাবি জানিয়েছে রাবি শাখা ছাত্র ফেডারেশন। আইআর বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তদন্ত করে রেজাল্ট তৈরিতে সভাপতির স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও জোর দাবি জানায় সংগঠনটির নেতারা।
রাবি শাখা ছাত্র ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফুল আলম সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “গত বছর ৯ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৯ সালের মাস্টার্স পরীক্ষার্থীরা বিভাগের ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে উত্তরপত্র মূল্যায়নে পক্ষপাতিত্ব ও অনিয়ম করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফলাফল বিপর্যয় ঘটানোর অভিযোগ তোলেন। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তদন্তপূর্বক উত্তরপত্র পূনর্মূল্যায়ন ও বিভাগের সভাপতির শাস্তিও দাবি করেন।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই শীর্ষ ছাত্রনেতা জানান, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আজ এক ভয়াবহ দুর্নীতির বেড়াজালে আক্রান্ত, যা ইউজিসি ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রশাসনের উদাসীনতা শিক্ষার্থীদের কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ঘটনা তারই একটা উদাহরণ মাত্র। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এমন উদাসিনতা আমাদেরকে চরম উদ্বিগ্ন করে তুলছে। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের যে কোনো ন্যায্য দাবির পক্ষে থাকার প্রত্যয়ে রাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে সংহতি জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”
নেতৃবৃন্দ আরো জানান, “৮ টি কোর্সের মধ্যে সভাপতির একাই ৫ টি কোর্সের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন। ৪ টি কোর্সের ইনকোর্স পরীক্ষা না নিয়েই মনগড়া কম নম্বর প্রদান ও পছন্দের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নম্বর প্রদান করেন। পরীক্ষা কমিটিতে অবৈধভাবে ২ জন বহিঃস্থ শিক্ষক রাখা হয়েছে। পরীক্ষক প্যানেল বহির্ভূত ও কোর্সের সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই এমন শিক্ষকদের দিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে এবং ঘনিষ্ট শিক্ষার্থীকে বেশি নম্বর প্রদান করা হয়েছে।”
নেতৃবৃন্দ জানান, “ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের দ্বারেদ্বারে ঘুরেও কোনো সমাধান পাচ্ছে না। যদি এই হ-য-ব-র-ল ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করা না হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াবো।”
বিডিনিউজ ইউরোপ /৬ ফেব্রুয়ারী / জই