”আবাসিক হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা গ্রহণে ইউজিসির সুপারিশ অযৌক্তিক” -বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল বন্ধ রেখে কেবল স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণে ইউজিসির সুপারিশ অযৌক্তিক বলে মনে করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।

শিক্ষার্থীদেরকেই আবাসনের ব্যবস্থা করে পরীক্ষায় বসতে হবে বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যে ঘোষণা দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ এই বক্তব্যের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা না করে ঢাবি উপাচার্যের এমন বক্তব্য সম্পূর্ণ অন্যায্য, একপাক্ষিক ও স্বৈরতান্ত্রিক। উপাচার্যের এরূপ দায়িত্বজ্ঞানহীন ও দায়সারা বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক। ঢাবি উপাচার্যকে দ্রুত তার অযৌক্তিক বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। এছাড়া, ইউজিসির কাণ্ডজ্ঞানহীন ও খামখেয়ালিপনা বক্তব্যের সাথে তাল না মেলানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান ছাত্র ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।

ছাত্র ফেডারেশনের দুই শীর্ষ নেতা বলেন, সর্বাগ্রে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও আবাসিকতা নিশ্চিত করতে হবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং ডাক্তারদের পরামর্শ মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নিতে হবে।

যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের আবাসিকতার ব্যবস্থা ও পড়াশুনার মানসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত না করে কোনো পরীক্ষা নেয়া উচিত হবে না এমন সতর্কতা ছাত্র ফেডারেশনের নেতাদের। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন আজ বিকেল ৪ টায় এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন- করোনা অতিমারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বড় সেশনজটে আটকা পড়েছে। যা শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং দেশের জন্য বড় সমস্যা হিসেবে হাজির হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় এবং শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে যথার্থভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্নাতকোত্তর ও স্নাতক শেষ বর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নিতে হবে। একই সাথে পর্যায়ক্রমে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলোও সরাসরি নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে কোনভাবেই পরীক্ষা গ্রহণ করা উচিত হবে না বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর।

ছাত্র ফেডারেশন মনে করে, করোনাকালীন যেখানে সকল শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারেনি সেখানে অনলাইনে পরীক্ষা, ল্যাব ও অ্যাসাইনমেন্ট নেয়ার চিন্তা খুবই অদূরদর্শী এবং দায়সারা চিন্তা হবে। এতে উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং শিক্ষার গুণগত মান বিনষ্ট হবে। সকলের জন্য আবাসিকতা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি মুক্ত পরিবেশে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হলে পরবর্তীতে ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষেরও ধাপে ধাপে পরীক্ষা নিতে হবে।
বিডিনিউজ ইউরোপ /১৩ ডিসেম্বর / জই