বেলজিয়াম থেকে ফাইজারের ভ্যাকসিন এসে পৌঁছাল যুক্তরাজ্যে
বেলজিয়াম থেকে ব্রিটেনে এসে পৌঁছেছে ফাইজারের ভ্যাকসিন। এর আগে বুধবার (২ ডিসেম্বর) মার্কিন সংস্থার তৈরি এই প্রতিষেধককে জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দিয়েছিল যুক্তরাজ্য সরকার। একদিন পরে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) দেশে এসে পৌঁছায় তাদের টিকা।
এ বিষয়ে ফাইজার কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। শুধু স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের ৮ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন হাতে এসে পৌঁছবে এবং হাতে আসা মাত্রই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
৪ ডিসেম্বর সকালে ইংল্যান্ডের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার জনাথন ভ্যানটম বলেন, ‘ব্রিটেনে শিগগিরই চলে আসবে ফাইজারের ভ্যাকসিন। শিগগিরই মানে কয়েক দিন না, কয়েক ঘণ্টা।’ এরপর বেলা গড়াতেই খবর আসে, টিকা এসে পৌঁছেছে। পুরো বিষয়টিই গোপন রাখছে সরকার।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, বেলজিয়াম থেকে ইউরো টানেল হয়ে ব্রিটেনে এসে পৌঁছায় ভ্যাকসিন। কয়েকটি ট্রাকে করে এগুলো ব্রিটেনে আনা হয়। সেগুলোর গায়ে কিছু লেখা ছিল না। এরপর ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও নর্দান আয়ারল্যান্ডের কিছু গোপন স্টোরেজে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত যা খবর, ওই স্টোরেজগুলো থেকে আগামী সপ্তাহের শুরুতে দেশটির ৫০টি হাসপাতালকে ভাগ করে দেয়া হবে ভ্যাকসিন।
ফাইজারের ভ্যাকসিন তৈরি করেছে তাদের সহযোগী সংস্থা বায়োএনটেক। এম-আরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি ভ্যাকসিনটি নিয়ে শুরুর দিকে তেমন সমর্থন পায়নি ফাইজার। এ সময় তাদের পাশে দাঁড়ায় জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক। ফাইজারের তুলনায় যদিও ছোট সংস্থা বায়োএনটেক। কিন্তু ব্রিটেনে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই রাতারাতি বিশ্বের প্রথম পাঁচশ ধনীর তালিকায় উঠে এসেছে বায়োএনটেকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা উগর সাহিনের নাম। এ সপ্তাহে সংস্থাটির শেয়ার দর বেড়েছে ৮ শতাংশ।
পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেনই প্রথম কোনো দেশ যারা জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। গুঞ্জন রয়েছে জানুয়ারি মাসে করোনার টিকা দেয়া শুরু হতে পারে কানাডাতেও। গত সপ্তাহেই কানাডার ভ্যাকসিন সরবরাহকারী দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন ড্যানি ফর্টিন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে ভ্যাকসিন চলে এলেই শুরু হয়ে যাবে টিকা দেয়ার প্রক্রিয়া।’
সূত্র – জাগো নিউজ
বিডিনিউজ ইউরোপ /৬ ডিসেম্বর / জই