ঝালকাঠিতে অপহৃত নবজাতক শিশুকে উদ্ধার ও অপরণকারী জেল হাজতে
ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জর্জ আদালত অপহরিত আড়াই মাসের শিশুকে উদ্ধারের পর মায়ের জিম্মায় প্রদান করেছে। সোমবার এই আদালতের বিচারক মোঃ শহিদুল্লাহ এই আদেশ প্রদান করেন এবং অপরণকারী নলছিটি উপজেলার রানাপাশা গ্রামের সাহেব আলী হাওলাদারের স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। রবিবার রাজাপুর থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশে মামলা দায়েরের পর অপহৃত শিশু নাজমুলকে(১৮ মাস) ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে উদ্ধার করে। শিশু এবং ফাতেমা বেগম কে পুলিশ সোমবার আদালতে সোপর্দ করে।
ঝালকাঠির নারী ও শিশু নিযার্তন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষন করার ফলে জন্ম নেওয়া আড়াই মাসের শিশুকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনে নালিশী অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শিশুটিকে অপহরণ করে হত্যা বা অন্যত্র বিক্রি করে ধর্ষনের দায় মূক্ত হওয়ার কৌশল হিসেবে এই শিশু অপহরণ। ৭জানুয়ারি অভিযোগ দায়েরের পর এই আদালতের বিচারক মো: শহিদুল্লাহ রাজাপুর থানায় অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গন্য করে মামলা রেকর্ড এবং শিশুটিকে উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগে প্রকাশ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বড় কৈবর্তখালি গ্রামের আব্দুস ছালামের কন্যা খাদিজা বেগমকে (৩৬) গত ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে পিত্রালয়ের বসত ঘরে ডুকে একই এলাকার মৃত: জব্বার মুন্সির পুত্র মো: নাসির উদ্দিন মুন্সি ধর্ষন করে এবং বিষয়টি জানাজানি হলে খাদিজা বেগমকে ঢাকায় নিয়ে একটি কয়েল ফ্যাক্টরিতে চাকরির ব্যবস্থা করে এবং ঢাকায় থাকাকালিন বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। আড়াই মাস পূর্বে খদিজা বেগম একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় এবং নাম রাখা হয় নাজমুল। এরপরে বিয়ের জন্য মো: নাসির উদ্দিন মুন্সিকে বিবাহের জন্য চাপ দিলে গত ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর নাসির উদ্দিন মুন্সি একই এলাকার ফাতেমা বেগম মো: মজিবর মন্সি ও রুস্তুম আলী হাওলাদারের সহায়তায় শিশুটিকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বিকেল ৩ টায় অপহরণ করে। এরপর থেকে নাসির উদ্দি মুন্সি ও শিশুটির কোন সন্ধান করে না পেয়ে আদালতে স্বরনাপন্ন হয় খাদিজা বেগম। আরও জানা গেছে ১১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ খাদিজা বেগম ও তার স্বামী নাছির উদ্দিন মুন্সি অন্য একটি মামলায় আসামী হিসেবে জেল হাজতে রয়েছে।
বিডিনিউজ ইউরোপ /২৫ জানুয়ারি / জই