একুশ তুমি স্মৃতিতে ভাস্বর ।
একুশের উদযাপন, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রভাত ফেরী, একুশের গান ও কবিতা আগে কেমন ছিল এখন কিভাবে হচ্ছে? ৮০র দশকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির দিনটা ছিল একটা প্রতীক্ষার দিন, যেদিন গৌরবের সাথে ঢাকা বিশববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে,ঢাকা ইউনিভারসিটির সায়েন্স এনেক্সের উল্টোদিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে পুষ্প স্তবক নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যেত। রাত ১২টার সময় তখনকার সামরিক জান্তা জেনারেল এরশাদ প্রেসিডেন্ট হিসাবে কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় ফুল দিয়ে যেত যার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ছিল ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ এবং সোচ্চার। খুব সকালে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক নিয়ে লাইনে দাড়াতাম। প্রভাত ফেরীতে অগ্রভাগ ছিল শহীদ মিনারের দিকে, শেষ অংশ ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভারসিটির সামনে, এস এম হলের সামনে , পলাশীর মোড় থেকে ইডেন কলেজ পর্যন্ত।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ১৫ দল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আইনজীবী পরিষদ, সাংবাদিক সমিতি, সেচ্ছাসেবী সংগঠন সমুহ, শ্রমিক সংগঠন সমুহ,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, মহিলা সমিতি সবাই প্রভাতফেরির লাইনে দাঁড়িয়ে খালি পায়ে একে একে ফুল দিয়ে যেত। সবার মুখে, “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী’আমি কি ভুলিতে পারি। ‘ পুরুষদের পাঞ্জাবি এবং মহিলাদের হলুদ বা সাদা শাড়ী, শোকের জন্য বুকে কাল ব্যাজ। শহীদ মিনারের সামনে দেয়ালগুলো লেখনীতে ভরা ছিল। ড: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, সাহিত্যক আবুল ফজল, হাসান হাফিজুর রহমান,কবি অন্নদা শঙ্কর রায়, কবি শামসুর রহমান,নির্মলেন্দু গুণ, কবি সৈয়দ শামসুল হক, কবি নির্মলেন্দু গুণ দের অমর একুশ কে নিয়ে লিখিত কবিতার অংশবিশেষ লেখা ছিল। যেমন সাহিত্যক আবুল ফজলের লিখা,একুশ মানে মাথা নত না করা, সাহিত্যি ড: মুহম্মদ শহীদুল্লাহর লিখা, আমরা হিন্দু এবং মুসলমান যেমন সত্যি তার চেয়ে বেশী সত্যি আমরা বাঙ্গালী, কবি অন্নদা শঙ্কর রায়ের, যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, গৌরী বহমান, ততদিন রবে মূর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান, ভাষা শহীদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, শহীদ দিবস অমর হোক ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গন ছিল ঢাকা পদাতিক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, পদাতিক, ঢাকা পদাতিক, গ্রুপ থিয়েটার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের নাটক, গণসঙ্গীত এবং ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের শরিকভুক্ত ছাত্রসংগঠনের বক্তৃতায় ছিল মুখর। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ছিল সামরিক জানতা এরশাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার।একুশ সামরিক জান্তা বিরোধী লড়াইকে আরো জোরালো এবং শাণিত করত। পথনাটকের মাধ্যমে তখন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোট লিয়াকত আলী লাকী এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন গণতন্ত্র,মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ,বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ এবং সমাজতন্ত্রের কথা বলতেন। একুশের বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছিল জামাত বি এন পির সাম্প্রদায়িক মৌলবাদি কার্যকলাপ এবং এরশাদ সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ উচ্চারন । একুশ ছিল মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে, বাঙ্গালী সংস্কৃতির, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ ব্যবস্থার জন্য প্রতিজ্ঞার দিন। একুশের প্রভাত ফেরিতে তখনও ইউনিভারসিটির উচ্চিবিত্তের বা অভিজাত পরিবারের সন্তানরা তেমন যেত না। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত শিক্ষিত সমাজ যেমন ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল তেমনি তারা সাধিনতা আন্দোলনেও নেতৃত্ব দিয়েছিল।আমরা যারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলাম, তাদের ভয় ছিল এই বিশাল শান্তিপূর্ন জনসমুদ্রে, কখন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল , সামরিক জান্তা এরশাদের গঠিত নুতন বাংলা ছাত্রসমাজের সন্ত্রাসীরা বা বঙ্গবন্ধুর খুনি , কর্নেল রশীদ, ফারুকের ফ্রিডম পার্টি হামলা করে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এবং নুতন বাংলা ছাত্রসমাজের সন্ত্রাসীদের হামলার আতঙ্কে আতঙ্কিত। ইসলামী ছাত্র শিবির তো আছেই শহীদ মিনারে ফুল দেয়া, শহীদ মিনার, একুশের গান ইসলামিক না ইসলামবিরোধী এই ভিত্তিহীন ভয়ংকর যুক্তি এবং যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের নাগরিকত্ব র দাবি নিয়ে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একুশের প্রতি কিভাবে শ্রদ্ধা জানাবে, সেটা পরিষ্কার ছিল না, তাদের কাজ ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যা করে তার বিরুদ্ধে একটা খোড়া যুক্তি খাড়া করা।মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম বা ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে একটা বক্তৃতা কখন শুনা যায়নি। তারা শুধু বলত তাদের শহীদ জিয়ার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ বা রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম। তারা তাদের অনুষ্ঠানে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের বা ভাষা সংগ্রামের সুন্দর সঙ্গীত গুলু বাদ দিয়ে পাকিস্থানি বিখ্যাত গজল শিল্পীর গজল পরিবেশনা করত। পাকিস্থান প্রীতি এবং যে কোনভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতায় তাদের কাজ ছিল। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ বা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক বা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সঙ্গীত , নাটক, কবিতার বিরোধিতা করা ছিল তাদের রাজনীতি। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন, ডাকসু ভি পি আখতারুজ্জামান,জাসদ সভাপতি শিরীন আক্তার এম পি, জি এস ডাক্তার মোস্তাক আহমেদ, ছাত্র ইউনিয়নের বুয়েটের ( ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি)র ভি পি খ. ম. ফারুক (প্রয়াত)বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি, আবদুল মান্নান (প্রয়াত), সুলতান মনসুর, সাধারণম্পাদক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান,রাজশাহী ইউনিভার্সিটির ভিপি ফজলে হোসেন বাদশা, কমিউনিস্ট পার্টির আনোয়ার হোসেন আরো অনেকে। মিনার থেকে ১০ মিনিটের হাঁটা বাংলা একাডেমির দিকে। ওখানে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস একুশের বইমেলা চলছিল। কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী ,রাজনৈতিক নেতা কর্মী, ইউনিভারসিটির সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের আনাগোনায় মুখর ছিল । বসন্তের আবহে, বাংলা একাডেমির বটতলা ছিল একুশের সঙ্গীতের মূর্ছনায় শিল্পী সাহিত্যিক দের মিলনের জায়গা। একবার বি এন পি একুশের মেলায়ও হামলা করে মহিলাদের লাঞ্চিত করেছিল, যেটার প্রতিবাদের ভাষা খুজে পাওয়া যায় না।শহীদ মিনার থেকে পুরো ঢাকা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস, রোকেয়া হল এবং শামসুন্নাহার হলের সামনে থেকে ,টি এস সি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট থেকে বাংলা একাডেমি, ঐদিকে ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরী, জাতীয় কবি নজরুলের মাজার বামে রেখে শাহবাগের মোড় পর্যন্ত রাস্তাগুলো ছিল শিল্পী, ছাত্র ছাত্রীদের শহীদদের স্মরণে আলপনায় ভরা। কবি রবীন্দ্রনাথ, নজরুল এবং সুকান্তের কবিতা এবং ৮0র দশকের কবি মোহন রায়হান, রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, রফিক আজাদ এর কবিতার মূর্ছনায় একুশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন ছিল গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ প্রতিষ্ঠা এবং সামরিক জান্তা বিরোধী লড়াইয়ের সারা বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু। সম্ববত ৮৫র দিকে একুশের কবিতার উৎসব চলছিল, আয়োজনে বাংলাদেশ কবিতা উৎসব। বিশাল আয়োজন, ঢাকার সমস্ত কবি সাহিত্যিকরা অংশ গ্রহণ করেছিল। মঞ্চের সামনের সারিতে বসা ছিলেন শিল্পী কামরুল হাসান। গণসঙ্গীত, আবৃত্তি চলছিল মঞ্চে। কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি শামসুর রহমান, সৈয়দ শামসুল হক, নাট্য শিল্পী রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর এম পি, পীযুষ বন্দোপাধ্যায় সবাই ছিলেন। হঠাৎ করে তখনকার বিরোধী দলের নেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চের সামনে আসলেন, তিনি দর্শক সারিতে শিল্পী কামরুল হাসানের পাশে বসলেন। কামরুল হাসান তখন কিছু আকতে ব্যস্ত। তার অঙ্কিত চিত্রে সামরিক জান্তা এরশাদের ছবি, লিখলেন, ‘দেশ আজ বিশ্ব বেহায়ার খপ্পরে ‘ । এক পর্যায়ে তিনি চেয়ার থেকে ঢলে পড়লেন । জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে আকড়িয়ে ধরলেন , ওনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল, পথেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। কামরুল হাসানের এই শিল্পকর্ম ছিল সামরিক জনতা এরশাদবিরোধী লড়াইয়ে, ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ এবং ১৫দলের একটা মূল পোস্টার। ৮০ এবং ৯০ দশকের কবি সাহিত্যক, বুদ্ধিজীবীদের মাঝে, কবি শামসুর রহমান, কবি শওকত ওসমান, ড: আহমদ শরীফ, ড: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কবি সৈয়দ শামসুল হক, নাট্যকার মামুনুর রশীদ, ড: আবুহেনা মোস্তফা কামাল, কবীর চৌধুরী, বিচারপতি কে এম সোবহান, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন , জাতীয় অধ্যাপক ড: আবদুর রাজ্জাক , ড: দুর্গাদাস ভট্টাচার্য,নাট্যকার এস. এম সোলায়মান অনেকে আমাদের চলে গেছেন । তারাই এরশাদের শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস উজ্জীবিত রেখেছিলেন। সাধিনতার পরে এই সময়টাতে মহান একুশের ইতিহাস , ভাষা আন্দোলন, বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি র জন্য সালাম, বরকত, রফিক জব্বারের পাকিস্তানের পুলিশের বুলেটে যে আত্মদান, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে যেভাবে বাঙালির ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙ্গালী সংস্কৃতি যেভাবে তুলে ধরেছিলেন এর পর বোধয় আর হয়নি। তাদের রচিত একুশের কবিতা এবং সাহিত্য আগামী একুশের পাথেয় হয়ে থাকবে। তখন একুশের কোন পোস্টারে, শহীদ ভাষা সৈনিক, শহীদ, সালাম বরকত, রফিক, জব্বারের ছবি এবং শহীদ মিনার ছাড়া অন্য কিছু ছিল না। কারণ একুশ শোকের মাস, ভাষার জন্য আত্মদানের মাস। এখনকার একুশের অনুষ্ঠানের পোস্টারে অনেকে নিজের ছবি ব্যাবহার করে। কানাডার মন্ট্রিয়েল থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জাতিসংঘে আনীত প্রস্তাবের সুস্পষ্ট সমর্থনে, জননেত্রী শেখ হাসিনার আনীত প্রস্তাবনা অনুযায়ী, পাকিস্থান স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে, বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি জন্য ১৯৫২ সালে সালাম, বরকত, রফিক জব্বারসহ অন্যান্যরা যে জীবন দিয়েছেন তার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদএবং ইউনেস্কো আজকের দিনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষনা করে। পাকিস্থানি শাসকগোষ্ঠী, পাকিস্থানের দুই তৃতীয়াংশ জনসাধারনের মুখের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছিল। শহীদদের রক্তদান এবং আওয়ামী লীগ সহ সর্বস্তরের বাঙ্গালী জনসাধারনের তীব্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পাকিস্থান বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা ঘোষণা করে। সারা পৃথিবীর ১৮৮টি দেশে , বাঙালির মাতৃভাষার জন্য জীবনদান এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছেন।জাতিসংঘ, ইউনেস্কো ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট, ইউরোপের দেশসমূহ, উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার দেশসমূহ রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি , মাতৃভাষার প্রতি সম্মান এবং চর্চার জন্য ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি সম্মান জানাচ্ছে। ভাষা শহীদ দিবসে, অমর একুশের এই দিনে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, একুশের আদর্শ, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, ভাষার জন্য বাঙালির সংগ্রাম, যেখান থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সার্বভৌম সাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির আন্দোলন রচিত হয় তা অক্ষুন্ন, অপরিবর্তনীয় এবং বহমান রাখার জন্য এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও রক্তের উত্তরাধিক বিশ্ব শান্তির নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভাষা শহীদদের কাঙ্ক্ষিত মাতৃভাষার ভিত্তিতে ধর্মনিরেপক্ষ উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য নুতন প্রজন্মের প্রতি বিনীত অনুরোধ। একুশ অমর হোক।
লেখক: জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতন
সাধারন সম্পাদক
বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ
বিডিনিউজ ইউরোপ /২৬ ফেব্রুয়ারী / জ ইসলাম