• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

ফ্রান্সের নাগরিক হতে আবেদন করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পিতা

মাহিদুল ইসলাম সবুজ ( আয়ারল্যান্ড) ডাবলিন
আপডেট : রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২১

ফ্রান্সের নাগরিক হতে আবেদন করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পিতা।

বৃটেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করলেও অনেক বৃটিশ নাগরিক চাচ্ছেন না ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সাথে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করতে। তাই অন্য অনেক বৃটিশ নাগরিকের মত বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পিতা স্ট্যানলি জনসন ফ্রেন্চ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। স্ট্যানলি জনসনের মা এবং মাতামহ ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেন। মায়ের সূত্র ধরে স্ট্যানলি জনসন ফ্রেন্চ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন বলে জানান। ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ফ্রান্স ভিত্তিক রেডিও স্টেশন ‘আর টি এল‘ এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে নিজে এ তথ্য জানান স্ট্যানলি জনসন। আশি বছর বয়সী স্ট্যানলি জনসনের রয়েছে এক বর্ন্যাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। আজীবন কনজারভেটিভ রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত এ রাজনৈতিক ১৯৭৯ সালে হয়েছিলেন মেম্বার অব ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট ( এম ই পি)। এছাড়া ১৯৭৩ হতে ১৯৭৯ পর্যন্ত কাজ করেছেন ইউরোপীয়ান কমিশনে। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ব্রেক্সিট গনভোটে স্ট্যানলি জনসন বৃটেনের ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। অপরদিকে তাঁর পুত্র বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ছিলেন বৃটেনের ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করার পক্ষের বড় সমর্থক। গনভোটে ৫২% -৪৮% ব্যাবধানে বৃটিশ জনগণ ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করার পক্ষে রায় প্রদান করে।এরই প্রেক্ষিতে বৃটেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সাথে ৪৮ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে।

ব্রেক্সিট বিচ্ছদের ব্যাথা মনে হয় সইতে পারছেন না স্ট্যানলি জনসন। ‘আর টি এল‘ রেডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটা নিশ্চিত যে আমি সব সময় ইউরোপীয়ান। কেউ বৃটিশ নাগরিকদের বলতে পারবে না যে তারা ইউরোপীয়ান নয়। ইউরোপ একটি একক বাজার থেকেও বড় কিছু। তাই ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সাথে যুক্ত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এর আগে তিনি বলেন, আমি যদি সঠিক ভাবে বুঝে থাকি, আমি একজন ফ্রেন্চ। আমার মা ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেন। আমার মায়ের মা একজন পরিপূর্ণ ফ্রেন্চ নাগরিক ছিলেন এমনকি তার দাদাও। সুতরাং আমি এমন একটি জিনিস পুনরায় দাবি করছি যা আমার ছিল এবং এটি আমাকে আনন্দিত করবে।

উল্লেখ্য, স্ট্যানলি জনসনের ফ্রান্সের নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়াধীন এবং শীঘ্রই তিনি ফ্রান্সের নাগরিকত্ব পাবেন বলে আশাবাদী।
সূত্র: আইরিশ টাইমস

বিডিনিউজ ইউরোপ /৩ জানুয়ারি / জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ