আজ পবিত্র শবে মেরাজ মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত।আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হবে পবিত্র এ রজনী। রাতটি মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যময় ও মহিমান্বিত। এ রাতে হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুজিজা মেরাজ সংঘটিত হয়। নবুয়তের দ্বাদশ বছর রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাত (আরবি ২৭ রজব) মহান আল্লাহর ইচ্ছায় নবীজি (সা.) ঊর্ধ্বাকাশে সফর করেন। আরশে আজিমে পৌঁছে মহান আল্লাহর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ও কথাবার্তা হয়। এ সময় উম্মতে মোহাম্মদির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হাদিয়াস্বরূপ ফরজ করেন মহান আল্লাহ।
মেরাজের বিস্ময়কর সফরে হযরত আদম (আ.), হযরত মুসা (আ.) ও হযরত ইবরাহীম (আ.)সহ অন্য নবীদের সঙ্গে সালাম বিনিময় হয় মহানবী (সা.) এর। বাইতুল মুকাদ্দাসে সব নবী ও ফেরেশতাদের নামাজের ইমামতি করেন তিনি। এ ছাড়াও স্বচক্ষে জান্নাত-জাহান্নামের চিত্র দেখেন এবং আরশে আজিমে পৌঁছে আল্লাহর দিদার লাভ করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তিনি সেই পবিত্র সত্তা, যিনি বান্দাকে তাঁর নিদর্শনগুলো দেখানোর জন্য রাত্রিকালে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার চতুর্পাশ বরকতময়, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (বনি ইসরাইল:-আয়াত ১)
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মেরাজের রাতে রাসুল (সা.) মক্কায় উম্মে হানি বিনতে আবু তালিবের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। হঠাৎ হজরত জিবরাইল (আ.) এসে রাসুল (সা.)কে মসজিদে হারামে নিয়ে যান। যেখানে তাঁর বুক বিদীর্ণ করে জমজম কূপের পানি দিয়ে সিনা ধুয়ে পরিষ্কার ও শক্তিশালী করা হয়। তারপর সেখান থেকে তাকে বোরাকে করে প্রথমে বাইতুল মুকাদ্দাস ও সেখান থেকে রফরফে করে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়।
মেরাজের ঘটনা মুসলিম জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে। বিশেষ করে মেরাজের রাতে উম্মতে মোহাম্মদির ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান জারি হওয়ায় এই রাত চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা যেন বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র মেরাজের রাতের উছিলায় ক্ষমা করে দিন আমীন। লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/১৯ ফেব্রুয়ারি/জই