• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

সক্রেটিসের মা ও সক্রেটিস উভয় ছিলেন ধাত্রীঃসুজন দেবনাথ

বিডিনিউজ ইউরোপ সাহিত্য -সংস্কৃতির ডেক্স থেকে
আপডেট : শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২

প্রখ্যাত লিখক,গবেষক, প্রাবন্ধিক,কবি ও সফল এবং মানবিক কূটনৈতিক সুজন দেবনাথ বহুমাত্রিক একজন জ্ঞানের প্রতীক। তিনি ৮ মার্চ ২০২২ বিশ্ব নারী দিবসে সক্রেটিশ ও উনার মা কে নিন্মলিখিত লিখাটি তিনি সোস্যালমিডিয়ায় লিখেছেন তা আপনাদের সকলের জন্য হুবুহু তোলে ধরা হয়েছেঃ

সক্রেটিসের মা ও সক্রেটিস উভয় ধাত্রীঃসুজন দেবনাথ
বাংলা ভাষায় নারীদের সম্বোধন করার জন্য যেসব শব্দ আছে, তার বেশির ভাগই মারাত্মক রকমের নেগেটিভ। মহিলা শব্দটির মানেই হলো যিনি মহলে থাকেন – বাইরে বের হন না, একেবারে অসূর্যম্পশ্যা।
সক্রেটিসের যুগে এথেন্সের নারীরা ছিলো একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মহিলা – তারা শুধু মহলেই থাকতেন। একেবারেই অসূর্যম্পশ্যা, শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়া তারা বাইরে আসতে পারতো না। এথেন্সের সেই বন্দী নারীদের ভেতর ব্যতিক্রম ছিলেন সক্রেটিসের মা। তিনি ছিলেন ধাত্রী। অন্য নারীদের সন্তান জন্ম দিতে সাহায্য করতেন তিনি। আর এই কাজে প্রায়ই দিনে-রাতে যখনই প্রয়োজন হতো বাইরে যেতেন তিনি। তার স্বামী বাধা দিতেন না। এতে করে ছোটবেলা থেকেই নারীদের সম্পর্কে সক্রেটিসের একটা আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়।
এথেন্সের অন্য পুরুষরা যখন নারীদের অবজ্ঞা করাটাকেই পৌরুষের পরিচয় মনে করতেন, তখন সক্রেটিস তার শিষ্যদেরকে আসপাসিয়া নামে এক নারীর বক্তৃতা শুনার পরামর্শ দিতেন। তার মতে তখন এথেন্সের সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ ছিলেন আসপাশিয়া। মায়ের কাজকে সক্রেটিস সারা জীবন উঁচু নজরে দেখতেন।
একদিন এক বন্ধু জিজ্ঞেস করলো, তুমি সারা দিন এতো জ্ঞান জ্ঞান করো কেন?
সক্রেটিস বললো, কী করবো, আমার মা শিখাইছে।
– মা শিখাইছে মানে? তোমার মা তো একজন ধাত্রী মাত্র।
– হুম, আমার মা একজন ধাত্রী। তার ছেলে আমিও ধাত্রী। আমি আর আমার মা একই কাজ করি।
– কি বললে? এথেন্সে যেখানে অন্য নারীদের মুখ দেখা নিষেধ, সেখানে তুমি পুরুষ হয়ে একজন ধাত্রী? ছিঃ ছিঃ ছিঃ …
– হুম জনাব, আমার মা অন্যদের সন্তান জন্ম দিতে কাজ করে, আমি অন্যদের মাঝে জ্ঞানের জন্ম দিতে কাজ করি। দুটোই জন্ম দেয়া, শুধু তরিকা আলাদা

লেখক বর্তমানে ভূটানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/১২মার্চ/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ