সেমিস্টার ফি জমা দিতে সিউরক্যাশ এজেন্ট ভোগান্তিতে জবি শিক্ষার্থীরা
করোনা সংকট উপেক্ষা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিভিন্ন বিভাগে ১ম বর্ষের ২য় সেমিস্টার থেকে শুরু করে অন্যান্য বর্ষে পরবর্তী সেমিস্টারে ভর্তির নোটিশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ভর্তি ফি জমা দেয়ার একমাত্র মাধ্যম সিউর ক্যাশ এজেন্ট খুঁজে পাচ্ছে না ঢাকার বাহিরে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থানরত অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা। ফলে ভর্তি ফি পেমেন্ট করতে পোহাতে হচ্ছে বিড়ম্বনা।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমার বাসা কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে এখানে বিকাশ, রকেট ছাড়া অন্য কোনো সেবা পাচ্ছি না। তাই আমার একজন সহপাঠীর মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করার জন্য তার কাছে বিকাশে টাকা পাঠিয়েছি। আমার মতো অনেকেই এ সমস্যায় পড়েছে, আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি জমা অন্য কোনো জনপ্রিয় ব্যাংকিং খাতে চুক্তি হলে ভালো হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পনেরোতম আবর্তনের এক শিক্ষার্থী জানায় আমার এলাকায় সিউরক্যাশ এজেন্ট নেই। তাই নিজে একটি একাউন্ট খুলে এক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করে টাকা আনতে হয়েছে। এক্ষেত্রে আামাদের খরচ বেশি হচ্ছে তাকে আমার বিকাশে টাকা টা পেমেন্ট করতে হয়েছে সেক্ষেত্রে তাকে ক্যাশ আউট চার্জ দিতে হয়েছে।
এছাড়াও অনেক সময় একসাথে একমাত্র মাধ্যম সিউরক্যাশে পেমেন্ট দিতে গিয়ে নানা জটিলতায় পরে শিক্ষার্থীরা। এতে পরে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি রূপালী ব্যাংক এর মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শিউরক্যাশের এজেন্ট সর্বস্তরে না থাকায় তাদের ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এর স্থায়ী সমাধান চান শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো: ওহিদুজ্জামান বলেন, যদি কোথাও এজেন্ট খুঁজে না পাওয়া যায় আামাদের বা বিভাগীয় চেয়ারম্যান কে অভিহিত করলে আমরা অবশ্যই বিকল্প ব্যবস্থা নিবো।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর এক বিজ্ঞপ্তিতে করােনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার বিলম্ব ফি মওকুফ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিডিনিউজ ইউরোপ/২৪ নভেম্বর/ জই