• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

“নামহীন সম্পর্কের বুননে”– মাহফুজুল আলম

বিডিনিউজ ইউরোপ ইন্টারন্যাশনাল ডেক্স
আপডেট : শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নামহীন সম্পর্কের বুননে- মাহফুজুল আলম

১.
অনলাইনে আছে দেখলাম। দেখেই লিখলাম,
— কেমন আছেন? ভাইয়া ও মামনিরা কেমন ?
তিনি উত্তর দিলেন,
— আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া। আলহামদুলিল্লাহ্ সবাই ভালো আছি। আপনারা সবাই ভালো নিশ্চয়ই?
— আলহামদুলিল্লাহ, আমরাও ভালো আছি। কোন কারণে আপনাকে নিষ্প্রাণ মনে হচ্ছে কি, নাকি আমি ভাববো ব্যস্ত আছেন অথবা বিনিসুতোর সম্পর্কে টান পড়েছে, কোনটা?

কিছু সময় পর সম্পর্কের গুরুজন জৈনক শ্রদ্ধেয়ার উদ্দেশ্যে আরেকটি লাইন যোগ করতে হলো,
— আমার কি কোন ভুল হয়েছে, কোথাও?
উত্তর এলো,
— না তো, কখনই না। তবে কি আমার থেকে কোন কিছু পেয়েছেন?
— পেয়েছি। অনেক বড় সেটা। বলা যাবে না। বেশি চাপাচাপি করলে বলে ফেলতে পারি। তাই সেটা করা যাবে না। মারাত্মক বিষয়।

রসিকতা করতে করতে এভাবে উত্তর দিলাম। আর তখন তিনি লিখলেন,
— জী ভাইয়া, বলে ফেলেন প্লীজ। অবশ্যই সংশোধন করে নিব।
— সংশোধন হবে না ভাই। আপনারও বয়স হয়েছে, জনপ্রিয়তা বেড়েছে, দায়িত্ব বেড়েছে। এসব লুকোনো যাবেনা। তাহলে কিভাবে সংশোধন হবেন?
— হবে। হতেই হবে। আমি চাই আমার, আমাদের ও আমার সন্তানদের প্রিয় মানুষটা আমার কাছ থেকে কষ্ট না পাক।

একটু ভাবলাম। তারপর আরেকটু ভাবলাম। ভেবে দেখলাম প্রশংসায় আমাকে ঘায়েল করার অস্ত্র নিয়ে নেমেছেন তিনি। এমনিতেই প্রচন্ড মেধাবী মানুষ। ঘর-সংসার, পরিবার-সমাজ, আত্মীয়-বন্ধু-পরিসর, অনাত্মীয়-পরিজন সহ তার চারপাশে ঘিরে থাকা মানুষগুলো তাকে বড্ড শ্রদ্ধা করেন এবং ভালোবাসেন। অনিয়মিত হয়ে পড়া যোগাযোগকে অভিযোগ আকারে উপস্থাপন করার সুযোগ ছিল কিন্তু সরাসরি তা বলা যায় না। বুঝলে ভালো, না বুঝলে বলার কিছু নেই।

২.
এমন সব সম্পর্কে দাবি চলে না। যদিও উনার কর্তাব্যক্তি (বর) আমার শৈশবের এক নিরব ভালোবাসার প্রবাদ পুরুষ । যিনি নিরবে ভালোবাসা দিয়ে গেছেন আমাকে অথচ কেন পেয়েছি তা আজো জানি না। কোন রক্তের সম্পর্ক নেই পাশের গ্রামের এই ভাইয়ার সাথে। মফস্বলের লোকাল বাসে চড়ে শহরে যেতে হতো। তাকে কাউন্টের পেতাম প্রায়ই। বহুবার এক্সট্রা ডিসকাউন্ট পেতাম তাঁর হাত হতে। আমাকে এক নজর দেখলেই হলো। মুখে কিছুই বলতেন না। এমনকি আমিও ডিসকাউন্ট চাইনি কোনদিন। কিশোর মুখের দিকে তাকাতেই বাসের টিকিটটা ডিসকান্টের ছাড় পেয়ে আমার হাতে পৌছে যেত। এভাবে বারবার হতে থাকা ঘটনা নিয়মিত হয়ে গেলো। তখন ভাবতাম আমার বড় ভাইয়ার সাথে পরিচয়ের বদৌলতে করতেন। তাহলে তো দুই একবার করা যেত কিন্তু বারবার? আসলে আমাকে ছোটভাইয়ের আসনে রাখা তার নিরব ভালোবাসা সত্যি সত্যিই ভালোবাসার বন্ধনে সত্য প্রকাশ করালো। তখন আমার লাজুক শৈশবের শিশুমেধা কিছু একটা জানিয়ে দিলো। “এঁরা নিরবে ভালোবাসতে শেখান। ঢাকঢোল পেটাতে পছন্দ করেন না। তাঁরা তো সেইজনা- যাঁদের সময় এলে অবশ্যই আপনাআপনি মন হতে স্বীকৃতি দিতে ইচ্ছে হয়। আর আমিও দিলাম।”

তিনি নিরবে হয়তো বহুকিছু করতেন। আমি জানতাম স্বল্প। এভাবে বহুবার শৈশবে ফিরে যাই আর প্রশ্ন করি মূহুর্তগুলোকে। কোন উত্তর পাই না। তিনি নিরবে ভালোবাসা বিলিয়েছেন। কোন প্রতিদানের আশায় নয়। সমাজে এমন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নিরব মূহুর্তের ভালোবাসা অনেকের চোখে পড়ে না। যখন পড়ে তখন তাকে অন্তত সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা সম্ভব নয়। আমিও করিনি। আর তাই বর্তমানের সাধারণের মধ্যে টিকে থাকা আরেক অসাধারণ মানুষের প্রতি আমার নিরব শ্রদ্ধা জাগে। সেই অর্থে এসব সম্পর্কের কোন ঝালাই লাগে না। সমাজের এইসকল সম্পর্কের স্থায়ীত্ব; চিরায়ত।

ধরুন, আপনি হেটে যাচ্ছেন কোন এক রাস্তা দিয়ে। কিছুক্ষণ আগেই ওখানে একটি বড় ভাঙ্গা কাঁচের টুকরো ছিল অথবা কোন গাছের কাঁটা পড়ে ছিলো, যা কেউ তুলে ফেলে দিয়েছেন। পথিকের কষ্ট হবে ভেবেই তিনি সেটা করেছেন। তার পরপরই আপনি সহ বহু পথিক হেটে চলে গেলেন সে পথ দিয়ে। কেউ কোন পরিবর্তন পেলো না। কিন্তু যে কাঁচের টুকরো বা কাঁটা সরিয়ে ফেলেছিলো সে পরম তৃপ্তিতে বাড়ি ফিরে গেলো। এভাবে ছোট বড় বহু নামহীন, না জানা সম্পর্কের মানুষগুলো আমাদের চারপাশ ঘিরে কাজ করে যায় কিন্তু আমরা জানি না।

শৈশবের এমন নিরব ভালোবাসা আমি টের পেতাম কিন্তু তখন প্রকাশ করতে পারতাম না। আজ পারি। শৈশবের ছোট ছোট আদর ভালোবাসা বড় হয়ে কতইনা বড় বড় ঢেউ তোলে। তাই জিইয়ে রাখা শ্রদ্ধাবোধ আজো পাখা মেলে। নামহীন সেই সম্পর্কগুলো আজো আমার কাছে বড্ড বেশি- ভীষণ দামি।

৩.
যাইহোক, আমার শ্রদ্ধেয় ঐ ভাইয়া হতে ফিরে আসা যাক শ্রদ্ধেয়ার প্রসঙ্গে। ভেবেছিলাম সম্পর্কের এই গুরুজনের উপর আক্ষেপ, আবেগ, রাগের চেয়ে একটু কম রাগ, অভিমান ও অভিযোগ করে বুঝিয়ে দেবো যে, হারিয়ে যাবার চেয়েও হারিয়ে থাকার কষ্ট কম নয়। কিন্তু কথা তো সেদিকে যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে আজো সংক্ষিপ্ত কথায় মিটিয়ে ফেলবেন । তাড়াহুড়া করে চম্পট দেবেন যে কোন সময়। দেখা যাক, আমার সন্দেহ কোন দিকে যায়।

এক সময় তিনি আমাকে দেশ সম্পর্কে সঙ্গ দিতেন। খোলা মনের মানুষ হিসেবে আমি শতভাগ শ্রদ্ধা রাখি তার উপর। কার্যতঃ প্রবাস হতে দেশের টানে কারো সাথে কথা বললেই ভালো লাগতো। আর তিনি যদি হন সব বিষয়ে বর্ননায় সেরা, তবে তো কোন কথাই নেই। দেশের প্রতিটি ইঞ্চির কথা উঠে আসতো আমাদের কনভার্সেশনে। সামান্য কথা হলেও সে কথায় থাকতো ভাইয়ার কথা, দেশের কথা, আমার গাঁয়ের কথা, প্রিয় মানুষগুলোর কথা। তিনি আমাকে জানাতেন। সম্পর্কের শ্রদ্ধেয়া একদিন শ্রদ্ধাবোধের পাশাপাশি সিনিয়র বন্ধুত্বে রূপ নিলেন।

এরপর দুই-এক বছর পেরোলো। এখন মাঝে মধ্যে আমিই নক করি। নামহীন সম্পর্কগুলো আমার কাছে অনেক দামী বলেই দামের চর্চা করি। খোঁজ নেই ভাইয়ার, বাচ্চাদের। তিনি আমার পরিবার সম্পর্কে খোঁজ নেন। এতদিনে বাহ্যিক পরিবেশের বহু পরিবর্তন এসেছে। করোনার মত ভয়াবহ মাধ্যম অন্তঃসারশূন্য করে তুলেছে বহু আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারকে। করোনা কিনা জানি না তবে মধ্যমা হয়ে দাঁড়ানো একটি ফারাক সময় জড়তা এনে দিয়েছে স্বাভাবিক কনভার্সেশনে।

আমি নক করলে একটু আধটু কথা হয়। আমি জানি সময় বদলেছে। ব্যস্ততা, সংসার এবং বয়স সামলে পুরোনো বন্ধুত্বগুলো যোগানে রাখা কঠিন। এখানে বন্ধুত্ব বলছি কেবল আমার পক্ষ হতে। আমার কাছে মনে হয়েছে একজন খাঁটি বন্ধুত্বে যা থাকা প্রয়োজন ওনার সেটা আছে। জীবনে এক আধবার যাদের সাথে দেখা হয় অথচ নিশ্চিন্তে চোখ বুজে যে মানুষ ও যে পরিবারকে বিশ্বাস করা যায়, তিনি ও তার পরিবার আমার কাছে তেমনি।
এদিকে অনিয়মিত যোগাযোগে মলিন হচ্ছে সব। এসব কথা চেপে রেখে বললাম,
— পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আমি জ্বলছি। মানুষ (আপনি) এত ভালো দায়িত্বশীল হলে চলবে? খোঁজ খবর না পেলে কি মানুষ কষ্ট পাবে না বলছেন? আমার উৎসাহিতের বৈধতার পাত্র (আপনি) হতে কথা থেমে গেলে আমি কি বুঝবো? তবে কি এক হাতে (আমি) তালি বাজাবো?

দেখলাম উত্তর আসতে দেরি হচ্ছে। তাই পরিবেশ যেকোন সময় ভারি হয়ে উঠতে পারে । সেটা ভেবে বললাম,
— যাগগে, বড় ভাবি তাই এবারও ছেড়ে দিলাম। তিনি এবার উত্তর দিলেন,
— আপনার ব‍্যস্ততার জন‍্যই আমি একটু শিথিল থাকি। যাই হোক, সরি। এরপর থেকে আর হবে না। এবারের মতো ক্ষমা করা দিন। বিনীত অনুরোধ!

আমি একটা স্মাইলি স্টিকার সহকারে লিখলাম,
— মজা করলাম শ্রদ্ধেয়া! হাতে বাঁকা বাশের বাশরী নেই কিন্তু বাঁকা কথায় গেঁথে যে কথোপকথন সেটা করতে যে লোক লাগে। সেটার ফুসরত হারালে একটু তো খারাপ লাগবেই। তাই টোকা দিলাম। ক্ষমা করবেন।
— এরকম ভালো মানুষের সাথে একটু কথা বললেই মনটা ভালো হয়ে উঠে। ধন‍্যবাদ মনটাকে ভালো করে দেওয়ার জন‍্য।

বুঝলাম জটিলতা হতে বেরিয়ে এসেছি আমরা। লিখলাম,
— চোখের সামান্য পাওয়ার বেড়েছে। লোকে এভাবেই বলে। আমি বলি পাওয়ার কমেছে। তাই চশমার পাওয়ার বাড়িয়ে ঝাপসা হতে চলা মোবাইলের কিবোর্ড স্পষ্ট দেখার চেষ্টা করি। অন্যদিকে বুড় বয়সে এসে পুরোনো লোকগুলো যাতে হারিয়ে না যায়, সেটা ধরে রাখার চেষ্টায় আপনাআপনি আপ্রাণ হই। তাই কিছু মনে করবেন না। শুধু শুধু ঝগড়া বাঁধাতে ইচ্ছে করছিলো।

মনে হলো তিনি কিছু ভাবছেন। তাই কথা ঘুরিয়ে আরেকটা হালকা তির ছুড়লাম,
— একদম চুপ যে? এমন খোটা খেয়েও কারো ভালো লাগে? আমার কি খুশি হওয়া উচিত নাকি লজ্জা পাওয়া ভালো?
তিনি এবারও স্মাইলি স্টিকার সহ উত্তরে লিখলেন,
— খুশি।
তার একটু পরই লিখলেন,
— তবে মাঝে মধ্যে মজা করে মনটাকে সতেজ করা ভালো । ভালো থাকবেন সব সময় । আমার দেখা সেরাদের থেকেও সেরা একজন মানুষ আপনি। শুভকামনা রইল।

এবার আমাকে প্রশংসার চাদরে মুড়ে দিয়ে কেটে পড়ার সময় হয়েছে বুঝলাম। নতুবা এত তাড়াতাড়ি “শুভকামনা” শব্দটি ব্যবহার করতেন না। তাই আমিও সন্মানিতের সন্মান রাখার তাগিদে শেষ করলাম। ভাবলাম নিশ্চয়ই তিনি কোন ঝামেলায় আছেন। আমার জানামতে তিনি এতো সংক্ষিপ্ত আলোচনায় কদাচিৎ যেতেন, নিয়মিত নয়। লিখলাম,
— বুঝতে পেরেছি । ব্যস্ত সমস্ত মানুষ আপনি। যানগে (যান না) কিছু রান্না চুলোয় দিন। বাচ্চারা খাবে তো। ভাইয়াকে সালাম রইল। শুভকামনা।

৪.
এভাবে বহু সম্পর্ক থাকে। কলমীরা আপনাআপনি মূল্যায়নে এনে কথার পিঠে কথা বাড়ায় কিন্তু শেকড়ের টান ভোলে না। আসলে শেকড় ভোলে না বলেই কথা বেড়ে বহুদূর যায়। আজো তেমন কিছু হয়েছিলো আমার। আমি চাইলেই সব একখানে করতে পারি না। বয়সের তালে তাল হারাই । কখনো কখনো নাম জানা-নাজানা বহু সম্পর্ক বেড়ে ওঠে শৈশব হতে। কিশোর, যুবা, মধ্য বয়স হতেই এটা চলমান। গ্রামের পাঠশালা হতে বাওড়ের হাট, নদীর কূল হতে কলেজ পাড়া, ছেলেবেলার বন্ধু হতে গেঁও পথে হেটে চলা ক্ষনিক সময়ের পথচারি ; সব সময় সব সম্পর্কের নাম হয়না। সম্পর্কগুলো আস্তে আস্তে অনিয়মিত হয় । বেশি হলে ঝরে যায়। এখানে কোন কারণ লাগে না। আবার বড় কোন অভিযোগও করা যায় না। অথচ একটি সময় এসে মানুষ বুঝতে পারে স্মৃতিতে থাকা সম্পর্কগুলোর কাছে আবারও যদি যেতে পারতাম। কিন্তু সেটা হয় না। হয়না বলেই মানুষ আফসোস করে। আমিও সেটা করলাম।

সবাই বুঝতে পারে কিনা জানি না। তবে রক্তের বাইরেও যে সম্পর্ক, আত্মার কাছাকা‌ছি যে জনেরা, শ্রদ্ধার পাশাপাশি যে প্রতিবেশী, শেকড়ের টানে যে আবেগ ; সেটাই হচ্ছে আমার আপনাজন। প্রবাসে থেকেও আমার মাতৃভূমিতে শেকড়ের টানে বায়বীয় সম্পর্কের সেরা মানুষ ও কিছু পরিবার আমার পছন্দের সেরা লিস্টে টিকে থাকে। তারা টিকে থাকেন আমার ওঠানামা করা জীবনের ধাপে ধাপে, মুষড়ে পড়া সময়ের তাকে তাকে, অবলুপ্তির শেকলের কড়ায় কড়ায়, বাধ্য হয়ে চুপ থাকা কথার কথায়।

আজকের কথোপকথনে উঠে আসা মানুষদু’টি হচ্ছেন অমায়িক সচ্ছলতায়, সরলতায়, চুপকথার অসাময়িক বুনন। এ বন্ধনের কোন নাম নেই। নাম ছাড়াই শ্রদ্ধার আঁতুড়ঘর হতে বেড়ে ওঠা মানুষগুলোকে কখনোই ভুলে যাওয়া যায় না। আমিও ভুলবো না। ভুলুক না মানুষ। তবুও হয়তো ভুল করে আরেকদিন নিজেই খোঁজ নিয়ে বসবো। বলবো,
–“কেমন আছেন, শ্রদ্ধেয়া? ভাইয়া ও মামনিরা ভালো আছেন তো?”
লিখকঃ প্রখ্যাত লিখক ও বৈমানিক ফ্লোরিডা, আমেরিকা
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/১৯ফেব্রুয়ারি/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ