বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে জয়ী ঘোষণার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ওই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে যাচ্ছেন নিপুণ।সোমবার বিকেলে নিপুণের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা আপিল বিভাগে আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামীকাল হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল কররো।
৭ ফেব্রুয়ারি সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা বাতিল সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন করেন জায়েদ খান। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে চিত্রনায়িকা নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন জায়েদ খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নায়িকা নিপুণ অভিযোগ তোলেন, নির্বাচনে দুর্নীতি করেছেন জায়েদ। টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন তিনি। তিনি লিখিত অভিযোগ জানান নির্বাচনের আপিল বোর্ডের কাছেও। এরপরই বোর্ডকে বিষয়টির সুরাহা করার দায়িত্ব দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এর প্রেক্ষিতে গত শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বৈঠক ডাকে আপিল বোর্ড। এতে নিপুণ অংশ নিলেও জায়েদ ছিলেন অনুপস্থিত। সন্ধ্যায় নির্বাচনের আপিল বোর্ডের সভা শেষে সোহানুর রহমান সোহান ঘোষণা করেন, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান থাকছেন না। নির্বাচনে অনিয়ম করার অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে নায়িকা নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন। রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এফডিসির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে শপথ গ্রহণ করেন নিপুণ।এদিকে সিনিয়র অভিনেতা উজ্জ্বল এবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন এফডিসিতে আগের সেই আনন্দ ও আড্ডার যে চমৎকার একটা পরিবেশ ছিল সেটি নষ্ট হলো সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মূলত সব শ্রেণীর শিল্পীরা বিভক্ত হয়ে গেছে। এটির কারণে নিপুণ জায়েদ কে সমাধান করা যাবে না।তাদের বিষয়টি ব্যক্তিগত রেষারেষি তে পৌঁছে গেছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সিনিয়র একজন পরিচালক বলেন শিল্পীদের দেখা ও অভিনয় অনুভব করতে সাধারণ মানুষ সিনেমা হলে যায় তারা পাবলিক প্লেসে বেশি গেলে তাদের প্রতি মানুষের আকর্ষণ থাকে না। এদিকে জায়েদ অনেক শিল্পীকে আদালতে যেতে বাধ্য করেছে এবং সে কিছুই হলেই আদালতে দৌড়ে চলে যায় যা এটি অসুব লক্ষণ।
এমনিতেই বাংলাদেশের মানুষ সিনেমা দেখা কমিয়ে দিয়েছে জায়েদের এসব নোংরামির জন্য পুরো এসডিসি বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
বিডিনিউজ ইউরোপ/৮ ফেব্রুয়ারি/জই