• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

গ্রিসে অনিবন্ধিত আশ্রয়প্রার্থীদের অবস্থা করুন তীব্র শীতে

বিডিনিউজ ইউরোপ ইন্টারন্যাশনাল ডেক্স
আপডেট : রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২

গ্রিসে অনিবন্ধিত আশ্রয়প্রার্থীদের অবস্থা করুন তীব্র শীতে

আশ্রয়ের আবেদন করার সুযোগ না পাওয়ায় গ্রিসের মূল ভখণ্ডে অনেক অভিবাসী ও শরণার্থীর মিলছে না রাষ্ট্রীয় কোনো সুবিধা৷ বরফ শীতল আবহাওয়ায় অনাহারে তাদের দিন কাটছে খোলা আকাশের নীচে৷সাম্প্রতিক সময়ে গ্রিসের উপর দিয়ে বয়ে যায় তুষারঝড়৷ ভেঙ্গে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাও৷ এমন অবস্থায় যেসব অভিবাসীদের থাকার জায়গা নেই বা পর্যাপ্ত খাবারের সংস্থান নেই তারা পড়েছেন সবচেয়ে বিপাকে৷এথেন্সের কাছে রিতসোনা ও মালাকাসা ক্যাম্পেও অভিবাসীদের জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই৷ এই বছর তারা আরো বেশি বিপাকে পড়েছেন গত অক্টোবরে চালু হওয়া সরকারের নতুন নিয়মের কারণে৷ এর ফলে অন্তত ছয় হাজার জন খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন৷বেশ কিছু মানবিক সহায়তা সংস্থা এই পরিস্থিতিতে অভিবাসী ও শরণার্থীদের কম্বল, জামা-কাপড়, খাদ্য বিতরণ করে ঘাটতি মেটাতে চেষ্টা করে যাচ্ছে৷ তবে সেটি প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে উল্লেখ করছে জার্মানির সি-আই এর মতো সংস্থা৷

শীতের যন্ত্রণা
গত বছর কর্তৃপক্ষ প্রথম আশ্রয় আবেদনের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ায় অনেকেই গৃহহীন হয়ে পড়েন৷ উত্তরাঞ্চলে এমন অনেক অভিবাসী ও শরণার্থী এই ঠান্ডায় তীব্র সংকটে পড়েছেন৷
নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি ঝুঁকিতে আছেন বিবেচিত না হলে তিনি গ্রিসের মূল ভূখণ্ড, ক্রিট বা রোডসে আশ্রয় আবেদন করতে পারবেন না, জানান মোবাইল ইনফো টিম (এমআইটি) নামের একটি সংস্থার অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার করিন লিনেকার৷ ২০১৬ সাল থেকে তারা আশ্রয়প্রার্থীদের তথ্য ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে আসছে৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অভিবাসী, শরণার্থীদের সমস্যা সমাধানে তাদের আসলে তেমন কিছু করার থাকে না৷
‘‘২৮ জানুয়ারি ২২ ইং স্থানীয় খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে তিনজন আমাদের কাছে আশ্রয় আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান৷ ‘আশ্রয় আবেদনের কোনো সুযোগ নেই’, এই কথাটি বলার মতো ভয়ঙ্কর দায়িত্ব এখন আমাদের পালন করতে হচ্ছে৷ যখন আমরা বুঝতে পারি তারা এই কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছেন না, তাদেরকে অনেক অনেক রাত পার্কে, রাস্তায়, পরিত্যাক্ত ভবন বা ট্রেনে কাটাতে হবে,’’ সংবাদ মাধ্যম কে থেসালোনিকি থেকে বলছিলেন লিনেকার৷
গ্রিসের উত্তরাঞ্চলের শহরগুলোতে গত তিন সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা শূন্যের নীচে অবস্থান করছে বলে জানান তিনি৷ যার কারণে সরকারি আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা বা সহায়তা বঞ্চিত অনিবন্ধিত অভিবাসীরা তাই ‘ভয়াবহ ঠান্ডা’ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন৷
আশ্রয় আবেদনের জটিল প্রক্রিয়া
লিনেকার জানান, আগের নিয়মে মূল ভূখণ্ডে প্রথম আশ্রয় আবেদনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আশ্রয়প্রার্থীদের স্কাইপে সাক্ষাৎকার দিতে হতো৷ এখন স্কাইপে লাইনটি খোলা থাকলে আবেদনকারীদের বলা হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াটি আর প্রযোজ্য নয়৷ এর বাইরে আর কোনো সহায়তা বা তথ্য তাদের দেয়া হচ্ছে না৷
এক্ষেত্রে কারো সামনে একমাত্র সুযোগ তিনি ঝুঁকিতে আছেন এমন প্রমাণ দেয়া৷ যেমন গুরুতর অসুস্থ, গর্ভবতী অথবা নির্যাতন, ধর্ষণের শিকার তাদেরকে এমন ‘পুলিশ নোট’ দাখিল করতে হয়৷ এর মানে গ্রিক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচয় পরীক্ষার পরই তিনি এই আশ্রয় কার্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন৷ লিনেকার বলেন, তার জানামতে মাত্র একজন এই চেষ্টাটি করেছিলেন, যদিও সফল হতে পারেননি৷ ‘‘তারা দিনের পর দিন ঘুরতে থাকে, কিন্তু অফিস ভবনে ঢোকার সুযোগ পায় না,’’ বলেন তিনি৷
ওয়েভ নামের একটি সংস্থা অভিবাসীদের খাদ্য, কাপড়, স্লিপিং ব্যাগ এবং কম্বল সরবরাহ করে৷ তারা জানান, তাদের সহায়তাপ্রার্থীদের তালিকা ক্রমশ লম্বা হচ্ছে৷ ‘‘এই মানুষগুলোর পরনে অনেক সময়ই থাকে খুব পাতলা জ্যাকেট, ভ্রমণকালে ছিঁড়ে যাওয়া জুতা৷ তাদের নেই কোনো কম্বল৷ এটাই একমাত্র সেবা যা তারা পাচ্ছে৷ এটা সত্যিই হতাশাজনক পরিস্থিতি৷’’
এমন অবস্থায় রাষ্ট্রীয় কোন বন্দোবস্ত না থাকায় তাদের ঘুমাতে হয় যেখানে সেখানে৷ অনেক সময় তারা পুলিশের কাছে ধরা পড়েন, জেলবন্দি হন বা তুরস্কেও তাদের ফেরত পাঠানো হয় বলে জানান লিনেকার৷
নভেম্বরে গ্রিক সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, মূল ভূখণ্ডে নতুন দুইটি আশ্রয়শিবির খোলা হবে৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য জানা যায়নি৷ বর্তমানে শুধু এভ্রোস অঞ্চলে ফিলাকিও কেন্দ্রটিই অভিবাসীদের প্রাথমিক আশ্রয়কেন্দ্র৷ তবে সেখানে চাইলেই যে কেউ জায়গা পান না৷সরকারের এই ব্যবস্থাপনার কারণে মূল ভূখণ্ডে ক্রমশ আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদনের চাপ বাড়ছে৷ লিনেকারের গবেষণা অনুযায়ী, গত বছর প্রথমবারের মতো সমুদ্রপথের চেয়ে স্থলপথে বেশি মানুষ গ্রিসে প্রবেশ করেছেন৷
সূত্র-মাইগ্রেশন ইনফরমেশন ডেক্স

বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/৩০ জানুয়ারি/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ