মুরাদ, মাহি ও ইমনের ফোনালাপ ফাঁস হলো কীভাবে, উত্তর খুঁজছে র্যাব
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ফোনালাপ ফাঁস করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ
সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, চিত্রনায়িকা মাহি ও চিত্রনায়ক ইমনের ফোনালাপের সেই অডিও ক্লিপটি কোথা থেকে আর কীভাবে ফাঁস হলো তার উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে র্যাব। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ফাঁস হওয়া আলোচিত ওই টেলিফোন কথোপকথনটির এক প্রান্তে ছিলেন ইমন ও মাহি এবং অপরপ্রান্তে ছিলেন মুরাদ হাসান।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল। র্যাবের সন্দেহ, এটি চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমনের মোবাইল ফোন থেকে ফাঁস হয়ে থাকতে পারে।”
এর আগে তদন্তের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাব সদরদপ্তরে ডেকে নেওয়া হয়েছিল চিত্রনায়ক ইমনকে। সেখানে তাকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “ইমনকে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী টেলিফোন আলাপ ফাঁস করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে কারণে এই ফোনালাপ কোথা থেকে আর কীভাবে লিক করা হয়েছে, সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি আমরা। সেজন্যই ইমনকে ডাকা হয়েছিল। তার ফোন থেকেই রেকর্ডিংটি ছড়িয়েছে কি-না কিংবা তার মাধ্যমে কোনোভাবে সেটা ফাঁস হয়েছে কি না- এসব জানতে চাওয়া হয়েছে।”
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, “কেবল ইমন নয়; ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত কি-না তদন্তে সে সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হবে। ইমনের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।”
প্রায় দুই বছর কেন তারা এ ঘটনা চেপে রেখেছিলেন? কেন তারা প্রকাশ করেননি, কোথাও কোনো অভিযোগ করেননি এ বিষয়ে ইমন বিবিসিকে বলেন, “দেখুন এটা এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমাকে একজন ফোন দিল, তুই কোথায়? কাল ফোন ধরিসনি কেন? আচ্ছা মাহিকে ফোনটা দে। এখন এইটার জন্য তো আমার ইয়ে হবার কথা না। কিন্তু অপজিট সাইডে উনি মাহির সঙ্গে যেভাবে কথা বলছেন, যে টোনে কথা বলেছেন…এখন ফোনে লাউডস্পিকারে কথা না বললে আমার পাশেরজনের সঙ্গে কী কথা হচ্ছে সেটা তো আমি জানবো না, তাই না।”
মাহিয়া মাহি বিদেশে অবস্থান করার এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/৮ ডিসেম্বর/ জই