• সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

গ্রিসের ক্যাম্পে অভিবাসীদের অবস্থা করুণ:জিসিআর

ইউরোপ ব্যুরো চিফ
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১

গ্রিসের ক্যাম্পে অভিবাসীদের অবস্থা করোণ:জিসিআর
জিসিআর হচ্ছে জাতীয় সংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রিসে অভিবাসন প্রত্যাশীদের সহায়তাকারী একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের মত এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবাদ উপক্ষা করে আশ্রয়প্রার্থীদের নতুন ক্যাম্পে পাঠানোর নামে মূলত ‘কারাগারে’ পাঠাচ্ছে গ্রিস। বিতর্কিত হলেও সেপ্টেম্বরে এমন কারাগার উদ্বোধন করার পর দেশটিতে নতুন আরও দুটি নতুন অভিবাসী ক্যাম্প চালু করছে গ্রিস সরকার।
লেরোস ও কোস দ্বীপে খোলা হয়েছে এই দুটি ক্যাম্প। এ ক্যাম্পগুলো নির্মিত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে।
গেল সেপ্টেম্বর মাসে গ্রিসের সামোস দ্বীপে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে জেরভৌ ক্যাম্প চালু করা হয় ক্যাম্প নামের নতুন কারাগার। তুরস্ক হয়ে গ্রিসে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে।

নতুন এই ক্যাম্পগুলো নিরাপত্তার কড়াকড়ি আর সেই সাথে বিতর্কিত পদ্ধতিতে প্রযুক্তির সাহায্যে বাসিন্দাদের নজরদারি চলছে। নতুন এ ক্যাম্পগুলোতে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। এই ধরনের ‘বদ্ধ’ বা কারাগারের মতো শিবিরের চারদিকে উঁচু কাঁটাতারের বেড়া। রয়েছে চব্বিশ ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি। বাসিন্দাদের চলাফেরায় নজর রাখতে ব্যবহৃত হচ্ছে এক্স-রে স্ক্যানার ও চৌম্বকীয় দরজা, যা রাতের একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আপনা থেকে বন্ধ হয়ে যায়।
এবার সামোস দ্বীপের নতুন অভিবাসী শিবিরের অবস্থা ‘করুণ’ বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে গ্রিক কাউন্সিল ফর রিফিউজিস (জিসিআর)৷
জিসিআর প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গ্রিক দ্বীপ সামোসে সম্প্রতি চালু করা শিবিরে অভিবাসী ও শরণার্থীদের বিচ্ছিন্নভাবে, সমাজ থেকে দূরে এবং বন্দি করে রাখা হচ্ছে। শিবিরটি শরণার্থীদের অভ্যর্থনা জানানোর কেন্দ্রের বদলে ‘কারাগারে মতো কাজ’ করছে।
গত দশ নভেম্বর গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস এক সংবাদ সম্মেলনে সামোসের শিবিরটিকে ‘অনবদ্য’ বলে প্রশংসা করেন। তার এমন দাবির পর ভয়ঙ্কর এই তথ্য প্রকাশ করল সংগঠনটি৷
গত সেপ্টেম্বরে নতুন কেন্দ্রটি চালু করা হয়৷ এটা হচ্ছে নতুন পাঁচটি তথাকথিত ‘বন্ধ এবং নিয়ন্ত্রিত’ কেন্দ্রের একটি যেগুলো গ্রিস নতুন তৈরি করছে৷ জিসিআর এর প্রতিবেদনে এক কুর্দি শরণার্থী পরিবারের বক্তব্য এভাবে লেখা হয়েছে:
‘‘কোনো কোনো দিন হাসপাতালে, ঔষধের দোকানে কিংবা উকিলের কাছে যেতে আমাদের শহরের কেন্দ্রে পৌঁছাতে হয়৷ গ্রিসে আমার শরীরে অস্ত্রপচার হয়েছে, তাই নিয়মিত একজন চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়৷ নতুন কাঠামোতে এখানে শুধু সকালে একজন চিকিৎসক থাকেন৷ এসব কারণে আমাদের ভিথিতে যেতে হয়, কিন্তু আমাদের কোনো টাকা নেই৷ শিবিরের মধ্যে কোনো সুপারমার্কেট নেই৷ তারা যে খাবার দেয় সেগুলো ভালো বা পর্যাপ্ত নয়৷ আগের শিবিরেও আমাদের অবস্থা করুণ ছিল, এখানেও তাই৷’’
প্রসঙ্গত,  সামোসের শিবিরটি শহর থেকে নয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ সেটির সবচেয়ে কাছের হাসপাতালটিও ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ সেখান থেকে ভাথি শহরে যেতে এবং ফিরে আসতে তিন ইউরো বিশ সেন্ট দিয়ে বাসের টিকিট কাটতে হয়। যা একজন আশ্রয়প্রত্যাশীকে প্রতিদিন যে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয় তারচেয়ে বেশি৷ একজন শরণার্থী দিনে আড়াই ইউরো সহায়তা পান৷
ইইউর অর্থায়নে সামোসে চমৎকার একটি পরিষ্কার স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে যেখানে বাচ্চাদের খেলার জায়গাসহ অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে৷ গ্রিক সরকারের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হলেও বাস্তবে কোন মিল নেই বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে জিসিআর।
এরই মধ্যে নিরাপত্তাজনিত অতিরিক্ত কড়াকড়ি আর প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিবাসীদের ওপর নজরদারিসহ নানা বিষয়ের জন্য এ শিবিরটি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। এই ধরনের ক্যাম্প গড়ে তুলতে ইইউ মোট ২৭৬ মিলিয়ন ইউরো অর্থ দিয়েছে গ্রিসকে।

বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/২ ডিসেম্বর /জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ