ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসীদের নৌকাডুবিতে ৩১ জনের সলিল সমাধি
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন এই দুর্ঘটনাকে “সর্বশ্রেষ্ঠ অভিবাসন ট্র্যাজেডি” বলে আখ্যায়িত করেছেন।
ফ্রান্স ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছেন ফ্রান্স থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে গোপনে অবৈধভাবে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পথে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে।
দুর্ঘটনার সংবাদের পর পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন ইউরোপীয় পর্যায়ে একটি সংকট বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন,ফ্রান্স ইংলিশ চ্যানেলকে কবরস্থানে পরিণত করতে দেবে না এবং চোরাকারবারীদের আর এভাবে মানুষের জীবনকে বিপদে ফেলার সুযোগ দেয়া হবে না। তিনি আরও জানান, ইইউ এর বহিরাগত সীমান্তে সুরক্ষায় নিয়োজিত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের তহবিল অবিলম্বে বৃদ্ধি করা উচিত।
দুর্ঘটনার সংবাদে পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলছেন, ‘‘আমি এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ। মৃতের পরিবারের প্রতি আমি সহানুভূতি জানাচ্ছি। এই ঘটনা এটাও দেখিয়ে দিচ্ছে যে, এভাবে ইংলিশ চ্যানেল পার করা কতটা বিপজ্জনক।’’
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন আরও জানিয়েছেন, ‘‘আমরা সর্বশক্তি দিয়ে মানব-পাচারকারী এবং গ্যাংস্টারদের ধ্বংস করব। আমরা ফ্রান্সের সঙ্গে, ইউরোপের অন্য দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করব। পাচারকারীরা শরণার্থীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তারপরেও পার পেয়ে যাচ্ছে। এটা হতে পারে না।’’
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিনের মতে, ফ্রান্স থেকে গ্রেট ব্রিটেন যাওয়ার পথে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুর্ঘটনার পর এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে,৩৩ জন নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। হতাহতদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে। ডারমানিন বলেন, ফ্রান্সের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দেখা এটি “সর্বশ্রেষ্ঠ অভিবাসন ট্র্যাজেডি”।দারমানিনের জানান,ফ্রান্সের জেলেরা প্রাথমিকভাবে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। আরও অন্তত একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন আরও জানান,ঘটনার পর পরই পাচারকারী সন্দেহে ফ্রান্সে এই পর্যন্ত সন্দেহভাজন চারজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তা কর্মীরা।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/২৬ নভেম্বর/ জই