সাড়ে সাতকোটি টাকার ইয়াবা সহ -১ রোহিঙ্গা মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের ইয়াবা ব্যবসার তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।দেশের কোথাও না কোথাও তাদের আটক করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্হা।প্রতিদিন নানা কায়দায় ও কৌশলে এসব মাদক কারবারিরা চলমান রেখেছে তাদের মাদক ব্যবসা।অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরাও তাদের আধুনিক প্রযুক্তি,গোপন সংবাদ কিংবা গোয়েন্দা নজরদারি দিয়ে তাদের গ্রেফতারও করছে।তাদের জালে একে একে ধরা পড়ছে চুনোপটি থেকে শুরু করে রাঘববোয়ালরা ও।
এমনই একটি বড় ইয়াবা চালানের গোপন সংবাদের অভিযানে নামে র্যাব- ১৫ এর একটি চৌকশ টিম।জেলার উখিয়া থানাধীন মেরিন ড্রাইভ সড়কের ছোট বাইল্যাখালি এলাকা থেকে দেড় লাখ ইয়াবাসহ মোঃ মিজান (২১) নামের এক রোহিঙ্গা মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানে আটক মোঃ মিজান কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘সি’ ব্লকের বনি আমীনের ছেলে বলে জানা যায়।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৫ এর সহকারি পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে এই খবর জানিয়েছেন।
তার তথ্য মতে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক কারবারী কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন জালিয়াপালং ইউপিস্থ কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের ছোট বাইল্যাখালি ব্রিজের উপর মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে তাদের একটি চৌকশ আভিযানিক দল ওই স্থানে পৌঁছে। র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে বস্তাসহ দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মোঃ মিজান নামের এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করা হয়।
পালানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় অভিযানকারীদের নিকট তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে পাচারকারির হেফাজতে থাকা বস্তা তল্লাশী করে ১ লাখ ৫০ হাজার পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ তাকে আটক করা হয়।
ধৃত মোঃ মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো স্বীকার করে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য সাড়ে সাত কোটি টাকা।
আটক মাদক কারবারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর সহকারি পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী।
বিডিনিউজ ইউরোপ/১৯ নভেম্বর/জই