• মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

ধনবাড়ী পৌরশহরের পরিত্যক্ত সেতুটি দেখার কেউ নেই জনদুর্ভোগ চরমে

জহিরুল ইসলাম মিলন (টাঙ্গাইল) ধনবাড়ী
আপডেট : Selasa, ৫ Oktober, ২০২১

ধনবাড়ী পৌর শহরে নির্মাণের পর থেকে অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সেতুটি দেখার কেউ নেই জনদুর্ভোগ চরমে
পাশে বিস্তর ফসলের মাঠ। মাঝখানে সেতু। পার হয়ে পথিকের যাওয়ার কোন রাস্তানাই।মাঠের আইলধরে কোথায় যাবেতাও যেন অনির্ধারিত।নির্মাণের পরতাই ৫/৬বছরধরেএমনিঅলসপড়েআছে সেতুটি।বলাহচ্ছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীপৌর এলাকার নলহড়া মিয়া পাড়া গ্রামের কুচিয়ামারা খালের ওপর তৈরি সেতুটির কথা। দুই পাশে সংযোগ রাস্তানা থাকায় এলাকাবাসীর কোন কাজেই আসছেনা সেতুটি।
শে -তপাথরে খোদাইকরে সেতুতে লাগানো প্লেট থেকে ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়েরর অর্থায়নে গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে সেতু কালভার্ট কর্মসূচির আওতায় সাড়ে ৩২ লক্ষটাকা ব্যয়ে সেতুটিনির্মাণহয়। সেতুটির পূর্ব পাড় মিয়াপাড়া, মাস্টারপাড়া। বিপরীত(পশ্চিম)পাড়েরামকৃষ্ণবাড়ী, রূপশান্তির একাংশ। এসবএলাকার লোকজন খাল পাড়হতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতেন। মাঠেরফসল কেটে বাড়িতুলতে দুইপাশের কৃষকদের কষ্ট দূর করতে সেতুটি দরকারছিল। মাঠ থেকে কৃষকদের ফসল আনার সুবিধার্থে সেতুটি নির্মাণ করাহয়ঠিকই।কিন্তু সেতুনির্মাণ হলেও সেতুর দুইপাড়ের রাস্তা নাহওয়া বা সেতুর সাথে কোন সড়কের সংযোগ না থাকায়এটি কোনো কাজে আসছেনা।
সরেজমিনে দেখাযায়, পূর্ব দিকেমূলসড়কের পর ফসলিজমি। পশ্চিম পাশে ও ফসলি ক্ষেত। ক্ষেতের আইল দিয়ে চলাফেরা করে দু’ পাড়ের মানুষ।সড়কহীন এই সেতু এলাকা বাসীর কোন কাজেই আসছেনা এমনওনয়। ধানসহ উৎপাদিত ফসলশুকাতে স্থানীয়রা এ সেতু ব্যবহার করে।নির্মাণের পর থেকে অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সেতুটি এমনমন্তব্য করলেন সেতুর পূর্বপাড়ে রমহব্বত হোসেন।
সেতুর পশ্চিম পাড়ে নলহড়া মিয়াপড়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. মোখলেছুর রহমানবলেন, ‘ সেতুটির দুইপাশেমাটিভরাটকরেরাস্তা করা হলে চলা চলকরা যেতো। সেতু নির্মাণের সময় কর্তৃপক্ষকে দুই পাশে মাটি ভরাট করে রাস্তা করার কথা ছিল। তারা সেটাকরেননি কেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। রাস্তাছাড়াএমন সেতু নির্মাণের কোন প্রয়োজনই ছিলনা।’
এলাকার আরও দুই কৃষক বলেন, ফসলি জমিতে যাতায়াতের জন্য এবং ধান-পাট সহ অন্যান্য ফসলআনা-নেওয়ারজন্য তিন ফুট প্রশস্ত একটি রাস্তাআছে। আরখালের ওপরদিয়ে যাতায়াতে যদি সেতু নির্মাণ করাহয়ে থাকে, তাহলে দুইপাশে সংযোগ সড়কও তো করতেহবে। সংযোগ ছাড়া এই সেতুর দরকারকী?
ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকল জানান,আগের মেয়রের সময় কাজটি হয়েছে। কৃষকরা যাতে মাঠ থেকে ফসল কেটে বাড়িতে নিতে পারেন সেজন্য সেতুটিনির্মাণকরাহয়। এখন সেতু টি ব্যবহার উপযোগী করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়হবে।

বিডিনিউজ ইউরোপ ২৪ডটকম/৫অক্টোবর/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ