ভোলায় মেঘনার পানি বিপদ সীমার উপরে ২০ দ্বীপচর প্লাবিত
অমাবশ্যায় সৃষ্ট জোয়ারে প্রভাবে মেঘনার পানি বৃদ্ধিতে ভোলার ২০ দ্বীপচর প্লাবিত হয়েছে। এতে জোয়ারে তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের বিস্তীর্ন এলাকা। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। মেঘনার তীরবর্তী এবং মূল ভূ-খন্ডের বাইরের দ্বীপচরে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ফুট পানি বেড়েছে। এতে গঙ্গাকীর্তি, বলরামসুরা, মদনপুর, মাঝের চর, রাজাপুর, কুকরি-মুকরি, ঢালচর, চর পাতিলা, কলাতলীর চর, কচুয়াখালীর, মনপুরা, চর যতিন, চরজ্ঞান, সোনার চর, চর শাহজালালসহ অন্তত ২০ টি দ্বীপচর প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বসতঘর, রাস্তাঘাট, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষ।
এদিকে জোয়ারের পানির চাপে ভোলার ইলিশার দুটি ফেরীঘাট তলিয়ে গেছে। চর পাতিলা ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেন জানান, জোয়ারের পানিতে ফসলের ক্ষেত, খাল, বিল ও রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ধনিয়া এলাকার বাসিন্দা এরশাদ ফরাজি বলেন, দুইদিনে জোয়ারের পানিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গঙ্গাকীর্তি, কালীকির্তী ও বলরামসুরা গ্রামের মানুষ। পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে, ২ শতাধিক ঘরবাড়ি তলিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষ। রাজাপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, জোয়ারের পানিতে রাজাপুর বিলিন হচ্ছে। পাশাপাশি আমবশ্যায় চাপে নিচু স্থান প্লাবিত হয়ে পানি বন্ধী হয়ে পরেছেন কয়েক হাজার মানুষ। এ দিকে ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান জানান, আমবশ্যার প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মেঘনার পানি বিপদ সীমায় উপর প্রবাহিত হওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে এখন তেমন ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/১০সেপ্টের/জই