গ্রিসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট ।
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট যুগে বাংলাদেশ।তারই ধারাবাহিকতায় আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রী ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান গ্রীসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্টের উদ্ভোধন করবেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব আসুদ আহমেদ আমাদের প্রতিনিধিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ই-পাসপোর্ট এর গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন তথ্য ও চালু প্রসঙ্গে প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন প্রচলিত এমআরপি পাসপোর্টের মতো প্রথমে তথ্য সংবলিত দুইটি পাতা ই-পাসপোর্টে না থাকলেও, শুরুতেই যেখানে পালিমানের তৈরি চিপ এবং অ্যান্টেনা থাকবে, সেখানে পাসপোর্ট বাহকের নাম, নম্বর, জন্মতারিখ ইত্যাদি তথ্য থাকবে। সেই সঙ্গে মেশিন রিডেবল অপশনও থাকবে। বিমানবন্দরগুলোতে ই-গেটের পাশাপাশি প্রচলিত ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাও চালু থাকবে। বর্তমানে এমআরপি বা যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্টের বইও একই রকমের থাকবে। তবে যন্ত্রে পাসপোর্টের বইয়ে প্রথমে যে তথ্য সংবলিত দুইটি পাতা থাকে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে বরং পালিমানের তৈরি একটি কার্ড ও অ্যান্টেনা থাকবে। সেই কার্ডের ভেতরে চিপ থাকবে, যেখানে পাসপোর্ট বাহকের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরণের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ।
ফলে যে কোনো দেশের কর্তৃপক্ষ সহজেই ভ্রমণকারীর সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারবেন।গত জুলাইতে যখন বাংলাদেশে প্রথম ই-পাসপোর্ট বিতরণ কর্মসূচীর তারিখ ঠিক হয়, তখন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বলেছিলেন, ”এটি অত্যন্ত নিরাপত্তা সংবলিত একটি ব্যবস্থা। যে কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখন ই-পাসপোর্ট ব্যবহার শুরু করেছে। আমরাও সেই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছি।” দেশের বাহিরে এই প্রথম ইউরোপের দেশ গ্রীসে ই-পাসপোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার। গ্রীসের পর জার্মানীর বার্লিনে উদ্বোধন করা হবে ই-পাসপোর্ট।
ই-পাসপোর্ট আবেদন অনলাইনে দাখিল করার সময়ে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করা যাবে। মান্যবর রাষ্ট্রদূতের কাছে নতুন ই-পাসপোর্টের ফি জানতে চাইলে উনি বলেন ,পাসপোর্ট ফি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হিসাব করা হবে। গ্রীসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে গ্রীস ,মালটা ও আলবেনিয়ায় বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশীরা পাসপোর্ট অফিসের নির্ধারিত ফর্মে আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে দূতাবাসের পরামর্শ অনুযায়ী বা অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবেন ।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ প্রবাসীদের স্বার্থে ই-পাসপোর্টের ফি এবং সময় কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। গ্রিসে বসবাস কারি বাংলাদেশীদেরা মধ্যে কমিউনিটির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস বলেন এটি সময়োপযোগী একটি পদক্ষেপ এসব উন্নত পদক্ষেপের কারনে পরবাসে বাংলাদেশীদের আত্মসম্মান দিন দিন বাড়ছে বলে গই কমিউনিটির নেতা মনে করেন।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/৭সেপ্টেম্বর/জই