• মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

মেজর জেনারেল পদবীতে পদোন্নতি পেলেন হামিদুল হকঃ কক্সবাজার সমিতির অভিনন্দন

জহিরুল ইসলাম ন্যাশনাল ডেক্স বিডিনিউজ ইউরোপ
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০২১

মেজর জেনারেল পদবীতে পদোন্নতি পেলেন হামিদুল হকঃ কক্সবাজার সমিতির অভিনন্দন

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি (Brigadier General Hamidul Hoque, nswc, psc) মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। আজ সকালে মাননীয় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি ও সেনা সদরের চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, ওএসপি, এসইউপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক কে আজ ১৭ আগস্ট মেজর জেনারেল এর র‌্যাংক পরিয়ে দেন। তিনি ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং সিলেটের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন।

মেজর জেনারেল হামিদুল হক ১৯৭০ সালের ২৩ জুন কক্সবাজার জেলার ঈদগাহ ইউনিয়নের পালাকাটা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি পালাকাটা গ্রামেই তার শৈশব অতিবাহিত করেন এবং ঈদগাহ মডেল হাই স্কুল হতে এসএসসি পাস করেন। এরপর স্বনামধন্য চট্টগ্রাম কলেজ হতে এইচএসসি পাস করেন। এছাড়া সেনাবাহিনীতে যোগদানের পর তিনি আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি ও সামরিক বিষয়ে দুইটি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি সর্বদাই একজন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
তিনি ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৯০ সালের ২২ জুন তারিখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইনফ্যান্ট্রি কোরে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে বিভিন্ন পর্যায়ে অপারেশনাল স্টাফের দায়িত্বসহ, তিনি তিনটি ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টে দায়িত্ব পালন করেন এবং একটি ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট কমান্ড করেন। এছাড়া নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্বরত ২০৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। কর্নেল পদবিতে তিনি একটি ইনফেন্ট্রি ডিভিশানের কর্নেল সটাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইতঃপূর্বে তিনি স্কুল অফ ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস এ ডাইরেক্টিং স্টাফ ও বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর এ জি এস ও – ১ এবং পরিচালক আইএবি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গত প্রায় দেড় বছর যাবত ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত কলেজ সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। মেজর জেনারেল হামিদুল হক সামরিক ও বেসামরিক পরিমণ্ডলে পেশাগত ভাবে একজন অত্যন্ত চৌকস, পেশাদার এবং দক্ষ অফিসার হিসেবে পরিচিত।
মেজর জেনারেল হামিদুল হক জাতিসংঘ মিশনে সিয়েরালিওনে ও সুদানের দারফুরে ডেপুটি সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি চাকরিজীবনে দেশে-বিদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করেন ও প্রশংসনীয় মানের ফলাফল অর্জন করেন। দেশের সকল প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কোর্সের পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন এবং পাকিস্তানে উচ্চতর সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে মেজর জেনারেল হামিদুল হক, নুসরাত জাহান মুক্তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ এবং তিনজন মেধাবী পুত্র সন্তানের জনক।

কক্সবাজার সমিতি, মেজর জেনারেল হামিদুল হকের এই অর্জনে গর্বিত ও তাঁর উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছে।

বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/১৭আগস্ট/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ