ভোলায় খাল ও ড্রেন বন্ধ সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে ঢুকছে পানি পৌরবাসীর দুর্ভোগ চরমে
ভোলার পৌর খাল ও ড্রেন বন্ধ থাকায় টানা বৃষ্টিতে জেলা শহরের অনেকাংশ ডুবে গেছে। ওই সব অঞ্চলের ঘরবাড়িতে হাটু পরিমান পানি। বন্যার পানি যেভাবে প্রবেশ করে। একইভাবে ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় কয়েক হাজার পৌরবাসীকে। কালীবাড়ি ২নং ওয়ার্ডের বিল্লাবাড়ি মসজিদ এলাকায়। একই অবস্থা ছিল পৌর আলগী এলাকায়। শহরের প্রধান সড়কেও পানি জমে থাকতে দেখা যায়। গ্রামীণ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, জেলা শহরের এমন অবস্থা দেখতে ও খোঁজ নিতে দেখা যায়নি কোন জনপ্রতিনিধিকে। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন নি পৌর কাউন্সিলররা।
পৌর ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল মিজানুর রহমানকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বললেও দিনভর দেখা যায় নি তাকে। একই অবস্থা ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালাউদ্দিন লিংকনের ক্ষেত্রে। তিনি জানান, পৌর সভার উদ্যোগে খালের দুইপাড়ে শোভা বর্ধন ও ওয়াকওয়ে নির্মান কাজ চলছে। ওই জন্য খাল ও ড্রেন বন্ধ রাখা হচ্ছে। ওই বাঁধ খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি। পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানকে এমন পরিস্থিতি তুলে ধরলে জানান, বর্তমানে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। যাদের সমস্যা রয়েছে তারা পৌরসভা থেকে লোক নিয়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। পৌর প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন জানান, খালের দুই পাড়ে ওয়ার্কওয়ে নির্মান কাজ চলমান থাকায় খাল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পানি নামার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করছেন।
স্থানীয়রা জানান, এমন দুর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই। শহরের পৌর আলগী, কালীবাড়ি রোড, পৌর রতনপুর, গাজিপুর রোড, অফিসার পাড়া বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
আইনজীবী মেজবাহউদ্দিন জানান, তার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। মোঃ রিয়াদ হোসেন জানান, খালের দুইপাড়ের কাজ শুকনো সময়ে করার কথা থাকলেও ওই কাজ করা হচ্ছে ঢিমেতালে। আর এ কারণে পৌরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিবপুর ও ধনিয়া ইউনিয়নের কয়েকজন মেম্বার জানান, ভোলার খাল বন্ধ থাকায় তাদের এলাকার কম পক্ষে ১০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, শহরের এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়। পানি নিস্কাশনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/১৭জুন/জই