• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

আষাঢ়ের বর্ষা এসে গেছে

জহিরুল ইসলাম মিলন টাঙ্গাইল ধনবাড়ী প্রতিনিধিঃ
আপডেট : বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১

আষাঢ়ের বর্ষা এসে গেছে
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা/ কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা/ রাশি রাশি ভারা ভারা/ ধান কাটা হলো সারা/ ভরা নদী ক্ষুরধারা/ খরপরশা/ কাটিতে কাটিতে ধান এলো বর্ষা’

হ্যাঁ, সত্যিই তাই। কবিগুরুর কবিতার মতোই বর্ষা এসে গেছে।

তৃষিত হৃদয়ে, পুষ্পে-বৃক্ষে, পত্র-পল্লবে নতুন প্রাণের নতুন গানের সুর নিয়ে বর্ষা এসেছে ধারায়। মঙ্গলবার (১৫ জুন, ০১ আষাঢ়) বর্ষার প্রথম দিন।

যারা হঠ্যাৎ করেই ভাবতে বসেন- মুষল ধারে বৃষ্টি হবে আর শুকিয়ে যাওয়া শহর আবার বসে ভিজবে, আজ তাদের বলে দেওয়ার দিন- শুধু শহর নয়, নগর-বন্দর-গ্রাম সব ভিজবে এবার। কেননা বর্ষা এসে গেছে।

গ্রীষ্মের অগ্নিঝরা দিনগুলো যখন প্রকৃতিকে করে বিবর্ণ ও শুষ্ক এবং জনজীবনকে করে অসহনীয়, তখনই বর্ষা রিমঝিম বৃষ্টি ঝরিয়ে প্রকৃতিকে করে তোলে সজীব। বর্ষার মুষলধারার বৃষ্টিতে ভেজার জন্য তাই তৃষিত অপেক্ষাতুর প্রকৃতি উন্মুখ। সেই তৃষ্ণা কাটিয়ে বাংলা বর্ষপরিক্রমায় বর্ষা এলো। আষাঢ়ের প্রথম দিন শুরু হয়ে এই ঋতু চলবে শ্রাবণের শেষ দিন পর্যন্ত। কারণ আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল।

বর্ষার ভারী বর্ষণে শরীর ধুয়ে নেয় প্রকৃতি। পরিচ্ছন্ন হয়, নতুন করে জেগে ওঠে। বেলী, বকুল, জুঁই, দোলনচাঁপা, গন্ধরাজ, হাসনাহেনার ঘ্রাণে ভরে ওঠে চারপাশ। আর ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’-এর হাসি তো ভুবন ভোলানো! কী গ্রাম, কী নগর, সর্বত্রই বর্ষার আগমনীবার্তা দেয় কদম। যেন একই কথার জানান দিতে পেখম মেলে ময়ূর। বৃষ্টির জল গায়ে নিয়ে নৃত্য করে তারা।

বাঙালি মননে সবচেয়ে বেশি রোমান্টিকতা-আধ্যাত্মিকতার সুর বেজেছে বর্ষায়। সাহিত্যজুড়ে তারই তো প্রতিফলন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বর্ষা ঋতুকে নিয়ে অসংখ্য কবিতা, গল্প, গান লিখেছেন। তাই তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কখনো কখনো বর্ষার কবিও বলা হয়। তিনি বর্ষাঋতু এবং বৃষ্টিকে তার কবিতায় সাজিয়েছেন বিচিত্রভাবে। বর্ষা কখনো প্রকৃতির রূপ বর্ণনার, কখনো নিরেট প্রেমের অনুঘটক। আবার কখনোবা বর্ষা স্বয়ং নারী।

এত কিছুর পরও এই মুগ্ধকর ঋতুরও রয়েছে সর্বগ্রাসী রূপ। অতি বৃষ্টিতে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হয়েছে এ জনপদের মানুষকে। তাই তো গবেষকদের কাছে বরাবরই মোহমুগ্ধ হয়ে উঠেছে নানা রূপের এ ঋতুটি।

রিমঝিম বৃষ্টিতে বিরহে রোদন হয়। টুপ টাপ বৃষ্টির নুপুর সারা দুপুরজুড়ে খেলা করে মন জোয়ারের ঢেউয়ে। তাইতো ভাবুক মন এই বর্ষায় নিরভাবনায় বলে ওঠে- ‘ওগো, বর্ষা এলো। এই বর্ষায় ধুয়ে যাক জীবনের সব ক্লেদ। ভালবাসায় পূর্ণ হয়ে উঠুক প্রকৃতি আর মানব মন’। বর্ষাকে ঘিরে এমন প্রত্যাশা যেন সবখানে।

বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/১৭জুন/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ