দৌলতখানের বৃদ্ধ ইদ্রীস দম্পতির সামনে শুধু হতাশা।
এক সময় ইদ্রিস রিকশার প্যাডেল মেরে সংসার চালাতেন, আজ বয়সের ভারে ন্যুব্জ। সন্তানরা থেকেও নেই। বিয়ে করে তারা ঢাকায় থাকেন। বাবা-মার খোঁজখবর রাখেন না। একমাত্র মেয়ে স্বামীর সংসার সামলে যতটা পারেন খোঁজ নেন। সরকারের দেয়া বয়স্ক ভাতায় আর চলে না দুজনের। ইদ্রিস মিয়ার বয়স ৮৪ বছর।
একমাত্র মেয়ে স্বামীর সংসার সামলে যতটা পারেন খোঁজ নেন। সরকারের দেয়া বয়স্ক ভাতায় আর চলে না দুজনের। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল ব্যবসার জন্য ইদ্রিস মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। সে টাকার বেশির ভাগ চলে গেছে ডাক্তার দেখিয়ে, ওষুধ কিনে। ঘরে এক বেলা রান্না হলে আরেক বেলা উপোস। ঘরের ছাউনি দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে।
ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘শরীর আগের মতো ভালো যায় না। রিকশা বিক্রি করে দিছি। কাজকাম আগের মতো করতে পারি না। এখন কোনো রকমে খাইয়া বাইচা আছি। কেউ কিছু দিলে তা দিয়াই চলে। বয়স্ক ভাতার যে টাকা দেয়, তাও ঠিকমতো পাই না।’ ইদ্রিস বলেন, ‘টাকার অভাবে ওষুধবড়ি কিনতে পারি না। ঘরে বসেই দিন কাটে আমাগো বুড়াবুড়ির। পোলাডা কোনো খবরও নেয় না। আমরা কী খায়া অছি না না খায়া অছি। স্থানীয়রা যা দেয় তা খাই আরকি। মানুষের দয়ায় চলে সংসার। পোলাডা ফোন দিয়াও খোঁজখবর নেয় না। এখন সরকার যদি আমাদের একটা ঘর দিত তাহলে সেই ঘরে থাকতে পারতাম। অভাবের তাড়নায় সংসারও ঠিকমতো চলে না। ডাক্তারও দেখাতে পারি না টাকার অভাবে।’
চরপাতা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি এমপি আলী আজম মুকুলের নির্দেশনায় ওনার জন্য ভিজিএফের চাল বরাদ্দ করে দিয়েছি। যেন প্রতি মাসে তিনি চাল পান।’
ভোলা দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারেক হাওলাদার বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে তাদের বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিচ্ছি। এ ছাড়া বিভিন্ন কর্মসৃজন কর্মসূচির মাধ্যমে ইদ্রিসের মতো যারা অসুবিধায় আছেন, তাদের প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি। এ ছাড়া যাদের জমি আছে তাদের ঘর করে দেয়া হবে।’
বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/৯জুন/জই