৯৯৯ এ ফোন কলে দুই কিশোরি উদ্ধার
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আটকে রেখে জোর পূর্বক দেহব্যবসা
‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে এক কলারের ফোন কলে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আটকে রেখে জোর পূর্বক দেহব্যবসা করানোর অভিযোগে দুই কিশোরীকে উদ্ধার ও তিনজনকে আটক করেছে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাত দেড়টায় ক্যালেন্ডারের হিসাবে রোববার (৩০ মে) রাত দেড়টায় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে একজন কলার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান তার মামাতো বোনকে গত ১৭/১৮ দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তারা এ কয়দিন অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোন খোঁজ পাননি। তার মামা কুমিল্লার মুরাদনগরের অধিবাসী যিনি এখন চট্টগ্রামে রিক্সা চালান।
আধা ঘন্টা পূর্বে তারা খবর পেয়েছেন তার মামাতো বোনকে ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার সাতাশ নম্বর সড়কের চুয়াত্তর নম্বর বাড়িতে আটকে রেখে খারাপ কাজ করানো হচ্ছে। তার মামাতো বোনের অনুরোধে এক সহৃদয় ব্যক্তি তাকে ফোন করে এ ব্যাপারে জানিয়েছেন।
৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ডবলমুরিং থানায় জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে ডবলমুরিং থানার একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায়।
পরে ভোর সাড়ে তিনটায় ডবলমুরিং এস আই মাহবুব রাব্বানি অপু ৯৯৯ কে ফোনে জানান তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়িটিতে অভিযান ও তল্লাশি চালিয়ে নীচ তলা থেকে কলারের মামাতো বোন (১৬) ও আরেক জন (১৫) সহ দুই কিশোরীকে উদ্ধার করেন।
তাদের জোর করে পতিতাবৃত্তি করানো অভিযোগে পাচারকারী চক্রের একজন তানজিনা আক্তার (৩৫), উটালিয়া, হাটহাজারী ও দুই খদ্দের কে আটক করেন। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/৩১মে/জই