বিশ্বের পাঁচটি দেশ করোনা মুক্তির ঘোষণা দিয়েছে শীঘ্রই আরো কয়েকটি দেশ করোনা মুক্তির ঘোষণা দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই নিকটে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
কোভিড-১৯ মুক্ত থাকতে বিশ্বব্যাপী এখন সবাই মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। সেখানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের মানুষ কি-না মাস্ক ছাড়াই সুরক্ষিত আছে। মহামারি করোনার শুরু থেকেই সঠিক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করায় সাফল্যের মুখ দেখেছে বিশ্বের ৫ দেশ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন দেশগুলো করোনামুক্ত-
ইসরাইল
ইসরাইল বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা কি-না সবার আগে করোনামুক্ত হয়েছে। ইসরাইল কোভিডমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেছে। সরকার বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার বিষয়টি মূলতবি করেছে।
ইসরাইলের সবাই এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। সেখানকার প্রায় ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং মাস্কমুক্ত জীবনযাপন করছেন।
ভুটান
ভুটান টিকা প্রদানের মাধ্যমে করোনা যুদ্ধে জয়লাভ করেছে। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই ভুটানের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৯০ শতাংশেরও বেশি টিকা গ্রহণ করেছে। মহামারি শুরুর পর থেকে ভুটানে মাত্র একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যদিও ভুটান, ভারত এবং চীন প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় তারাও ঝুঁকির মধ্যে ছিলো। তবে সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশটিতে করোনা মারাত্মক হয়ে ওঠেনি। সেইসঙ্গে ভুটান লকডাউনে না গিয়েও মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছিলো!
আমেরিকা
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু স্থানে টিকাপ্রাপ্ত জনগণেরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, কিছু ক্ষেত্রে মাস্ক নাও পরতে পারবে। তবে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সব নাগরিকরা কোভিড ভ্যাকসিন নিলেই স্বাধীনভাবে জীবন-যাপন করতে পারবে। তবে বাইরে চলাচল, দৌড়াদৌড়ি, হাঁটাচলা বা বাইক চালানোসহ ভিড়ের মধ্যে থাকার সময় মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে সিডিসি।
নিউজিল্যান্ড
করোনা পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনার জেরে নিউজিল্যান্ড মহামারিতে জয়লাভ করেছে। মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যাকিন্ডা আরডার্নকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিশ্ব। নিউজিল্যান্ডে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ এবং সিদ্ধান্তের কারণে নিউজিল্যান্ড আজ মাস্কমুক্ত। মাত্র কয়েকদিন আগে অকল্যান্ডে একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিলো, যেখানে সামাজিক দূরত্ব এবং মুখোশের প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই প্রায় ৫০ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন!
চীন
করোনা মহামারি চীন থেকেই বিস্তার লাভ করে, এ তথ্য সবারই জানা আছে। তবে বর্তমানে চীনের সব নাগরিক কোভিড ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে করোনামুক্ত হয়েছে। চীনের মানুষেরা এখন মুখোশ ছাড়াই চলাফেরা করছে। তারা এখন জীবনযাপন করছে। করোনায় বিধ্বস্ত চীন এখন তার পর্যটনও খুলেছে। থিম পার্ক, রেস্তোঁরা ও হোটেলগুলো এখন সম্পূর্ণ উন্মুক্ত।
করোনাভাইরাসের উৎপাদনকারী দেশ চীনা সারা বিশ্বকে মহামারীতে জর্জরিত করে নিজেরাই আজকে করোনা মুক্তির ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্বের অগণিত মানুষের মনে একটি প্রশ্ন তাহলে কি সারা বিশ্বকে ধ্বংস করার জন্য চীনার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের সৃষ্টি করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এমনই মনে করছেন বিশ্বের সংবাদ পর্যালোচক গণের মতে।
বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/২১মে/জই