ককসবাজার বাসীর স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলা রেলপথ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে দোহাজারি-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন স্থাপনের কাজ। এরই মধ্যে পুরোপুরি শেষ হয়েছে কক্সবাজার অংশে দুই কিলোমিটার রেলট্রেক বসানোর কাজ।
এছাড়াও আইকনিক স্টেশন, ছোট-বড় সেতু, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং ও হাইওয়ে ক্রসিংয়ের কাজও পুরোদমে চলমান। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও ২০২২ সালের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
চট্টগ্রামের দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন। যা ছিল কক্সবাজারবাসীর জন্য স্বপ্নের মতো। এখন বাস্তবায়নের পথে। বসতে শুরু করেছে রেলট্র্যাকও।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার পানিরছড়ায় শেষ হয়েছে দুই কিলোমিটার রেলট্র্যাক স্থাপনের কাজ। যা এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান।
শুধু রেলট্র্যাক স্থাপনের কাজই নয়, দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পে পুরোদমে এগিয়ে চলছে আইকনিক স্টেশন, ছোট-বড় সেতু, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং ও হাইওয়ে ক্রসিংয়ের নির্মাণ কাজ। স্থানীয়রা বলছেন, কক্সবাজারে ট্রেন চলাচলে পাল্টে যাবে অর্থনীতির চাকা।
তারা বলেন, এটা আমাদের কাছে একটা স্বপ্ন। আগামি বছর থেকেই আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম যেতে পারবো রেলে করে।
এরই মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণের প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ। করোনা পরিস্থিতি ও বর্ষা মৌসুমের প্রতিকূলতার মাঝেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা জানালেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল পাটোয়ারি।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করবো। ৭০ শতাংশ কাজ প্রায় শেষ।
ইঞ্জি. মো. ইকবাল হোসাইন পাটোয়ারি, নির্মাণ ব্যবস্থাপক, দোহাজারি-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রজেক্ট, ম্যাক্স ইনফ্রাসট্রাকচার লিমিটেড।
প্রায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালে শুরু হয় দোহাজারি থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ। যা শেষ হবার কথা ২০২২ সালে।
এদিকে ককসবাজারের স্থানীয় ভুমি মালিকের সরকারের দেওয়া অধিগ্রহণের অর্থ না পাওয়ায় প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান সকিনা আজিম নামে একজন ভোক্তভূগি।তিনি আরো জানান কিসের উন্নয়ন আমাদের শেষ সম্বল টুকু দিয়ে আমরা নিঃষ হলেও সরকার প্রদত্ত ক্ষতি পূরণ টুকুও পেলাম না বলে ক্ষোভ জানান তিনি।
বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/১৭এপ্রিল/জই