আইপিএলে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে অতীত রেকর্ড ঘাঁটতে বেশ অস্বস্তিই বোধ করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। রোহিতদের বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচও যে চকিতে কীভাবে হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে, তার সাক্ষী থেকেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। একটা সময় নীতীশ রানার দাপট দেখে মনে হচ্ছিল, হয়তো নাইট সংসারে মৌশুমের দ্বিতীয় জয়টি আসতে চলেছে, তখনই ছন্দপতন। ঝলসে উঠলেন নীল জার্সিধারী রাহুল চাহার। রানাকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখাতেই পালটে গেল সব সমীকরণ। ফিরল মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে সেই বিভীষিকার পরিসংখ্যান। আরও একবার তাদের বিপক্ষে হারের ইতিহাস তৈরি করল কলকাতা।
টস জিতে ইয়ন মরগানের ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তটা যে নেহাত ভুল হয়নি, তা কার্যত একাই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। একাই নাড়িয়ে দেন পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের ব্যাটিং লাইন আপ। সেই সঙ্গে বিরল রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। কাইরন পোলার্ড, ক্রুণাল পাণ্ডিয়া, মার্কো জনসন, বুমরাহ ও চাহারের উইকেট তুলে নেন মাত্র ১২টি রান দিয়ে। ইশান্ত শর্মার পর আইপিএলে ১২ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন রাসেল। জোড়া উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। অধিনায়ক রোহিত আর সূর্যকুমার যাদব ছাড়া নাইট বোলিংয়ের সামনে কেউই টিকতে পারেননি।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে শুধু সমর্থকই নয়, সতীর্থদের চাহিদাও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রানা। এদিনও নিজেকে উজার করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচ ফিনিশ করে ফিরতে পারলেন না। ৫৭ রানে তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান চাহার। চারটি উইকেট তুলে নিয়ে নিয়ে কলকাতাকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন ভারতীয় লেগ-স্পিনার। আর রানা ফিরতেই বদলে যায় ম্যাচের ছবি। রাসেল এবং কার্তিক জুটিও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ঝড় তুলতে পারেনি। চূড়ান্ত হতাশ করেছেন মরগান, সাকিবরা। আর শেষ ওভারে জোড়া উইকেট তুলে জয় নিশ্চিত করে দেন বোল্ট। তাতেই কার্যত হাতের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচে শেষ হাসি হাসলেন রোহিতই। এই না হলে চ্য়াম্পিয়ন টিম!
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
মুম্বাই : ১৫২ (রোহিত-৪৩, সূর্যকুমার-৫৬, রাসেল-১৫/৫)ফল : ১০ রানে জয়ী মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
সূত্র -ইনকিলাব
বিডিনিউজইউরোপটোয়েন্টিফোরডটকম/১৪এপ্রিল/জই