• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় পাঠক আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম এই সাইটি নতুন ভাবে করা হয়েছে। তাই ১৫ই অক্টোবর ২০২০ সাল এর আগের নিউজ গুলো দেখতে ভিজিট করুন : old.bdnewseu24.com

ফাস্ট লেডি হয়ে হোয়াইট হাউসে গেলেও শিক্ষকতা ছাড়ছি না: জিল বাইডেন

মেহেদী হাসান কূটনৈতিক প্রতিবেদক এথেন্স গ্রীস
আপডেট : সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০

ফাস্ট লেডি হয়ে হোয়াইট হাউসে গেলেও শিক্ষকতা ছাড়ছি না: জিল বাইডেন

শিক্ষক সবাই হতে পারে না যারা শিক্ষকতায় প্রবেশ করেন উনারা সমাজের মধ্যে অন্যতম উদার ও সহনশীল বিবেকবান মানুষ।এই লিখাটির সাথে সম্পূর্ণ মিল রয়েছে একজন মহান শিক্ষিকা ও পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতা ধর রাষ্ট্রের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ছিলেন দীর্ঘ আট বছর। এখন ও তিনি সেই আমেরিকার ফাস্ট লেডি হতে চলছেন।তিনি আর কেহ নন আমেরিকার ৪৬তম রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের স্ত্রী ড.জিল বাইডেন।

জো বাইডেন তার স্ত্রী সম্পর্কে বলেন, আপনাদের সেই প্রিয় শিক্ষকটির কথা ভাবুন, যিনি নিজেকে বিশ্বাস করার পাশাপাশি আপনাদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করেছিলেন। জিল বাইডেন তেমনই এক ফার্স্টলেডি হবেন। জিল অবশ্য নিজেকে ফার্স্ট লেডি বা সেকেন্ড লেডির চেয়েও বেশি পছন্দ ও গর্ব করেন নিজেকে শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতেই।
দীর্ঘদিন ধরে জিল যুক্ত রয়েছেন সমাজসেবামূলক নানা কাজের সঙ্গে। ফার্স্ট লেডি হওয়ার পরেও তার জীবনযাত্রা যে বিশেষ পাল্টাবে না, তা আগেভাগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন জিল বাইডেন। যেমন পরিবর্তন আসেনি ৮ বছর আমেরিকার সেকেন্ড লেডি থাকার সময়েও। ওয়াকিবহাল শিবিরের মতে, ২০০ বছরেরও বেশি আমেরিকার ইতিহাসে এমন নজির বিরল, যেখানে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি পারিশ্রমিক নিয়ে অন্য কাজও করবেন কোনও ফার্স্ট লেডি।

পদাধিকারী হিসেবে আমেরিকার ফার্স্ট লেডি হোয়াইট হাউসের ‘হোস্ট’। নিজস্ব অফিসের পাশাপাশি তার অধীনে থাকেন চিফ অব স্টাফ, প্রেস সেক্রেটারি, হোয়াইট হাউস সোশ্যাল সেক্রেটারি, চিফ ফ্লোরাল ডিজাইনার এবং তাদের অধীনস্ত কর্মীরা। রাজনৈতিক ছাড়া সামাজিক ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজনের দায়িত্বভার থাকে তার ওপর। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিদেশ সফরে প্রেসিডেন্টের সঙ্গী হন ফার্স্ট লেডি। মেলানিয়া ট্রাম্প বা মিশেল ওবামারা সে ভাবেই ভারত সফরে এসেছিলেন।

২০০৮-১৬ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে জো বাইডেন ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। জিল বাইডেন স্বাভাবিকভাবেই ছিলেন সেকেন্ড লেডি। সেই সময়েও তিনি কলেজের শিক্ষকতা ও সমাজসেবামূলক কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। কয়েক দশক ধরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত জিল। বাইডেন যে দিন মনোনয়ন নেন, সেদিন কলেজ থেকেই অনলাইনে বিবৃতি দেন তিনি। এ বছরের আগস্টেই তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি অনেক অভিবাসী এবং শরণার্থীকে পড়াই। তাদের পড়াতে, তাদের সঙ্গে মিশতে আমি ভালোবাসি। আমরা হোয়াইট হাউসে গেলেও কাজ ছাড়ছি না।’ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পূর্ণকালীন পেশাজীবী নারী হিসেবে প্রথম ফার্স্ট লেডি হতে যাচ্ছেন ড. জিল বাইডেন (৬৯)। ফার্স্ট লেডি হলেও শিক্ষকতা ছাড়বেন না দুটি মাস্টার্স ও পিএইচডির অধিকারী এই জিল বাইডেন।ড.জিল অসাধারণ মহৎ ও উদারচিন্তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন মানুষ গড়ার কারিগর।

বিডিনিউজ ইউরোপ/৯ নভেম্বর/বার্তা সম্পাদক


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ