পালমা দে মায়োরকায় দূতাবাস সেবা প্রদান
কোভিট-১৯ যখন সারাবিশ্ব কে নীরব করে ফেলছে ঠিক তখনো বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদ,স্পেনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার, বিপিএম, পিপিএম, এনডিসি ব্যস্ত রয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীদের দ্রুত সময়ের ভিতর মানুষের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে সব ধরনের সেবা প্রদানে ।
সেই লক্ষ্যে বিগত বছরের মত চলতি বছরেও ফেব্রুয়ারীতে একবার সেবা দেয়া হয় ।
রাজধানী মাদ্রিদ থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত পালমা দে মায়োরকা দ্বীপ টি।
এখানে প্রায় ১০০০ বাংলাদেশীর বসবাস।যাতায়াতসহ জন্য শিপএবং বিমান ছাড়া বিকল্প কোন পরিবহন নেই।
খরচ প্রায় ২৫০ ইউরো যা বাংলাদেশী ২৫ হাজার টাকার সমমান!
প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ এবং গুরুত্বপূর্ণ সময় বাঁচাতেই রাষ্ট্রদূতের এই ভ্রাম্যমান কনস্যুলার সেবা । বছরে ২ বার পালমা দে মায়োরকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।সেই লক্ষ্যে গত ২৯/১০/২০২০ দূতাবাস তাদের নিজস্ব ফেইসবুক পেইজে একটি বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানান নভেম্বরের ৭ এবং ৮ তারিখ প্রবাসীদের সকাল ১০ ঘটিকা হইতে বিকাল পর্যন্ত বাসমতী রেস্টুরেন্টে (কাইয়্যা দে কারো ৭,০৭০১৩ পালমা) সেবা প্রদান করা হবে।।
সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে, নতুন বাচ্চাদের পাসপোর্ট আবেদন গ্রহন, মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে এমন ডিজিটাল পাসপোর্টের রি-ইস্যুর আবেদন গ্রহন, হাতে লেখা পাসপোর্টধারীদের নতুন ফিংগারপ্রিন্ট ও ছবি গ্রহন, সকল প্রকার ভিসার আবেদন,বাংলাদেশী স্প্যানিশ পাসপোর্টে নো ভিসা রিকোয়ার্ড আবেদন গ্রহন,পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন সত্যায়ন,প্রয়োজনীয় কাগজাদী সত্যায়ন সহ যাবতীয় সনদের আবেদন গ্রহন করবেন।
এই সেবার বিষয়ে বাসমতি রেস্টুরেন্টের মালিক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী জনাব মো: শাহীন জানান, দূতাবাসের এই কার্যক্রম খুবই প্রশংসার দাবী রাখে। তিনি জানান এই সেবার ফলে একদিকে এই দ্বীপের বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি, কর্ম ব্যস্ত মানুষের শারীরীক এ মানসিক কষ্ট লাঘব হয়েছে। এই সেবা অব্যহত রাখার আহ্বান জানান। তিনি এই সেবার জন্য খুবই খুশি ও দূতাবাসের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করেন।
দূতাবাসের কর্মকর্তা প্রথম সচিব (শ্রম) জনাব মো: মুতাসিমুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জনাব রেজাশাহ পাহলভী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর (শ্রম উইং) জনাব মো:শফিকুল ইসলাম এই কনস্যুলার সেবা পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস মাদ্রিদ,স্পেনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব হাসান মাহমুদ খন্দকার (বিপিএম, পিপিএম, এনডিসি) বলেন, প্রবাসীদের সেবা প্রদানের জন্যই মূলত সরকার আমাকে এখানে পাঠিয়েছে।আমার লক্ষ্য জনগণের দ্বারপ্রান্তে সর্বোচ্চ সেবাটা পৌছে দেয়া।কারন এই প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের কষ্টার্জিত অর্থে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। তাই প্রবাসীদের সার্বিক বিষয়গুলো আমরা খুব আন্তরিকতার সাথেই দেখি।পালমা দে মায়োরকায় বছরে ২ বার এবং বার্সেলোনায় বছরে ৬ বার আমাদের দূতাবাস টিম প্রবাসীদের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে সেবা দিয়ে আসছে।এতে প্রবাসীদের অর্থ এবং সময় দুটিই বেঁচে যাচ্ছে।
বিডিনিউজ ইউরোপ /৯ নভেম্বর / বার্তা সম্পাদক