• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় পাঠক আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম এই সাইটি নতুন ভাবে করা হয়েছে। তাই ১৫ই অক্টোবর ২০২০ সাল এর আগের নিউজ গুলো দেখতে ভিজিট করুন : old.bdnewseu24.com

বুড়োদের’ বিকল্প তৈরিতেই জাতীয় দলে এতো চমক

জহিরুল ইসলাম মিলন স্পোর্টস প্রতিবেদক
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১

বুড়োদের’ বিকল্প তৈরিতেই জাতীয় দলে এতো চমক

এই নবাগত দলে সুযোগ হয়নি জ্যেষ্ঠ ফুটবলারের। গোলকিপার থেকে শুরু করে ফরোয়ার্ড পজিশন পর্যন্ত কিছু পরীক্ষিত জ্যেষ্ঠ ফুটবলার বাদ পড়েছেন নতুন স্কোয়াডে।

নেপালে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। এবার মূল দলে নতুনদের জয়জয়কার। লিগের বিভিন্ন ক্লাবে খেলা নতুন ফুটবলারদের নিয়ে দল সাজিয়েছেন কোচ জেমি ডে। মূল দলের সঙ্গে ব্যাকআপ প্ল্যান হিসেবে রাখা হয়েছে অনূর্ধ্ব-২৩ এর আরও সাত ফুটবলার। যাদের ছয়জনই নবাগত।

জাতীয় দলে সবমিলে ৩১ সদস্যের ১১ ফুটবলারই একেবারে নতুন!

এই নবাগত দলে সুযোগ হয়নি জ্যেষ্ঠ ফুটবলারের। গোলকিপার থেকে শুরু করে ফরোয়ার্ড পজিশন পর্যন্ত কিছু পরীক্ষিত জ্যেষ্ঠ ফুটবলার বাদ পড়েছেন নতুন স্কোয়াডে।

এতো নতুন মুখের কারণ কী?

দলকে নতুন করে গোছাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ।

বলেন, ‘নেপালে যে ত্রিদেশীয় সিরিজটা আছে এখানে জাতীয় দলকে নতুন করে সাজানোর সুযোগ হিসেবে নামানো হচ্ছে। অনেক সিনিয়র প্লেয়ার হয়ে গেছে, নতুন প্লেয়ার তৈরি করার এখনই সময়।’
এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে দলকে ভেঙে নতুন করে গড়ার পরিকল্পনা থেকেই এমন চমক বলে জানান নাবিল।

বলেন, ‘রেজাল্ট আমাদের কাম্য। এর পাশাপাশি আমাদের দলকে গোছাতে হবে, নতুন করে গড়তে হবে। সে জন্য টুর্নামেন্টটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের পরখ করে দেখতেও পারব।’

নতুন স্কোয়াডে তেমনই প্রতিফলন দেখা গেল। জেমির মূল বহরে যোগ হয়েছেন নতুন পাঁচ মুখ। তাদের চারজনই ডিফেন্ডার। বসুন্ধরা কিংসের রিমন, মুক্তিযোদ্ধার ইমন, মেহেদী ও মোহামেডানের হাবিবুর রহমান সোহাগ। একমাত্র নতুন ফরোয়ার্ডও মুক্তিযোদ্ধার মেহেদী হাসান।

সামনে বিশ্বকাপ বাছাইসহ অলিম্পিক দল গড়ার পরিকল্পনা থেকেই নেপালের ত্রিদেশীয় সিরিজ হতে পারে পরীক্ষামূলক প্রচেষ্টা।

আগামীকাল সোমবার থেকে অনুশীলন শুরু করবে জাতীয় দল

জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টকে নিয়েছি জাতীয় দলের প্রস্তুতি ও নতুন করে গোছানোর একটা টুর্নামেন্ট হিসেবে।’

মূল ২৪ সদস্যের পাশাপাশি এবার ব্যাকআপ দলেও সাতজন ফুটবলারকে ক্যাম্পে নেয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে ছয়জনই নতুন। অনূর্ধ্ব-২৩ ও জাতীয় দলের ব্যাকআপ তারা।

তারা হলেন উত্তর বারিধারার গোলকিপার মিতুল মার্মা, মোহামেডানের ডিফেন্ডার মো. আতিকুজ্জামান, সাইফের চার মিডফিল্ডার আবু শাহেইদ, রহিম উদ্দীন, ইমরান হাসান রিমন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও বাংলাদেশ পুলিশ এফসির ফরোয়ার্ড মো. জুয়েল।

সিনিয়রদের বিকল্প ভাবনা থেকেই এদের পরখ করে দেখতে বাছাই করা হয়েছে বলে ইঙ্গিত দেন কাজী নাবিল আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু নতুন তরুণ উদীয়মান প্লেয়ার নিয়েছি যারা লিগে ইতোমধ্যে খুব ভালো খেলা খেলছে। তাদেরকে আমরা যেন সুযোগ করে দিতে পারি, তারা যদি মাঠে নিজেদের তুলে ধরতে পারে সে জন্য বাছাই করা হয়েছে।

‘তাহলে আমাদের সামনে বিশ্বকাপ বাছাই ও অনূর্ধ্ব-২৩ এর বড় খেলা আসবে সেগুলোতে আমরা ভালো ফল পাব।’

ত্রিদেশীয় সিরিজ সামনে রেখে সোমবার থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে জাতীয় দল।
বিডিনিউজ ইউরোপ১৬মার্চ/জ ইসলাম


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ