• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ধারাভাষ্যে সাকিব কে নিয়ে তামিমের যত কথা ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা; পাঁচ শিক্ষার্থী গ্রেফতার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুই মাসের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যৌথ-বাহিনীর অভিযানে কল্লাকাটা মিজান’সহ ৭ সন্ত্রাসী আটক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’জনকে কুপিয়ে জখম, দুই পক্ষের ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি অস্ট্রিয়ায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ অস্ট্রিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশ প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়ার কবলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে বছরে লোকসান ৬৬ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে মার্কিন প্রতি‌নি‌ধিদলের সাথে আলোচনা গ্রিসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় পাঠক আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম এই সাইটি নতুন ভাবে করা হয়েছে। তাই ১৫ই অক্টোবর ২০২০ সাল এর আগের নিউজ গুলো দেখতে ভিজিট করুন : old.bdnewseu24.com

ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

ফারজানা রহমান লাভলী (অষ্ট্রীয়া) ভিয়েনা নিজস্ব প্রতিনিধি
আপডেট : সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১

ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন অনুষ্ঠিত
ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ পালন করা হয়েছে।

সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উপলক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রমের শুরু হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণসহ অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন।
বিকেলে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে এক অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দুতাবাসের প্রথম সচিব ও দুতালয় প্রধান মোঃ তারাজুল ইসলাম ।
এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জনাব মফিদুল হক। এই আলোচনা সভায় পররারষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাঙালি, সাংবাদিক, ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দূতাবাসের সহকারী কনস্যুলার কর্মকর্তা জুবায়দুল হক চৌধুরী । আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কাউন্সিলর মালিহা শাজাহান । অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন আমরা প্রত্যেকই স্বাধীনতার মহান
স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করার সাহস ও অনুপ্রেরণা পাই। তিনি বলেন ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু এ দেশের নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের নয়, এ ভাষণ বিশ্বের নানা প্রান্তের নিপীড়িত জনগণের মুক্তির গান। এ জন্যই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণসমূহের একটি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক জনাব মফিদুল হক তাঁর উপস্থাপনায় ৭ই মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক পটভূমি,বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এই ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য, বিশ্বপরিমন্ডলে এই ভাষণের অবস্থান এবং
ইউনেস্কো কর্তৃক এই ভাষণকে International Memory of the Word Register-এ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ একটি নতুন ধারার জাতীয় মুক্তি আন্দোলন ও একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অনস্বীকার্য অবদান রেখেছে। ভাষাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তা,পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায় এবং সংঘাতের বিপরীতে সম্প্রীতির বিজয় অর্জনে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ যুগযুগ ধরে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবে বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।
আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন, অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম,সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, রুহি দাস শাহা,অষ্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রবিন মোঃ আলী, ফিরোজ আহমেদ, মিসেস জান্নাতুল ফরহাদ,মিসেস সুলতানা নাসরিন নাহিদ,স্লোভেনিয়ার প্রবাসী ছাত্র রাকিব হাসান রাফি,হাঙ্গেরির প্রবাসী ছাত্র নিয়ামত আলী প্রমুখ ।
আলোচনা পর্বে বক্তরা বলেন ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমেই মূলত দিশেহারা বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা পায়। এ ভাষণের পরেই বাঙালি জাতি স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করে। স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের অমিত শক্তির উৎস ছিল ঐতিহাসিক এই ভাষণ।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে বক্তব্য দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উপ প্রধান রাহাত বিন জামান। তিনি বলেন,আমাদের ইতিহাস ও জাতীয় জীবনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এক অপরিহার্য অধ্যায় যা আমাদের সবসময় প্রেরণা যুগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বিডিনিউজ ইউরোপ টুয়েন্টিফোরডটকম/৮মার্চ/জ ইসলাম


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ