‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করলে সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে ‘-ছাত্র ফেডারেশন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং কারাগারে লেখক মুশতাক হত্যার রায় প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে আটককৃত সকলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন এক যুক্ত বিবৃতিতে জানান, বর্তমান সরকার ভোট ডাকাতি করে জোর করে ক্ষমতাসীন হয়ে দেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে চলেছে। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বৈদেশিক স্বার্থে চুক্তি করছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারদলীয় এমপি, মন্ত্রী, আমলারা অর্থ পাচার করছে। সরকার দুর্নীতিবাজ, অপরাধী ও মাফিয়াদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। কিন্তু এই সময়ে যারা সরকারের সমালোচনা করছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। দুর্নীতির খবর প্রচার করার জন্য, দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন আঁকার জন্য, ফ্যাসীবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও লেখালেখি করার জন্য সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট, ছাত্রনেতা, শ্রমিকনেতা ও লেখকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে।
সম্প্রতি ২৬ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও কারাগারের লেখক মুশতাক আহমেদ হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগে মশাল মিছিলে বর্বরোচিত হামলা করে পুলিশ। মশাল মিছিল থেকে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা নজির আমীন চৌধুরী জয়, তামজীদ হায়দার চঞ্চল, জয়তী চক্রবর্তী, নাফিজা জান্নাত, তানজীম রাফি, আকিব আহমেদ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আরাফাত সাদকে মিছিল থেকে আটক করে নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
খুলনায় পাটকল রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা রুহুল আমিনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে হামলা করা হয় এবং ১০ জনকে আটক করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় টিএসসি চত্বর থেকে আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, জুলফিকার জেসান হায়াত ও আতিক মোর্শেদ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের ৩ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কার্টুনিস্ট কিশোরকে লেখক মুশতাক আহমেদের মতো মৃত দেখতে চাই না, অবিলম্বে তাঁর মুক্তি চাই। শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে সর্বত্র দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার চলছে। আমরা সরকারের এই চরম দমননীতির তীব্র বিরোধিতা করছি। অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারকৃত সকল নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে আটককৃত সকল ছাত্র নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
সরকারের দমননীতি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাতিলের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সেই আন্দোলনে মুক্তিকামী সকল দেশপ্রেমিক
ছাত্র-তরুণ-জনতাকে যুক্ত হবার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
বিডিনিউজইউরোপ টুয়েন্টি ফোর ডটকম/২ মার্চ/ জ ইসলাম