• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন, সুইডেন আ’ লীগের সভাপতি এবং সম্পাদক

সুইডেন থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি
আপডেট : শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন, সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় পূর্ব বাংলার বাংলা ভাষাভাষী ৪ কোটি ৪০ লাখ জনগণ পাকিস্তান অধিরাজ্যের অংশ হয়ে যায়। পাকিস্তানের সরকার, প্রসাশন, সামরিক বাহিনীতে পাকিস্তানের পশ্চিম প্রান্তের আধিপত্য দেখা দেয়। করাচিতে জাতীয় শিক্ষা সম্মেলনে শুধুমাত্র উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা এবং স্কুল ও মিডিয়াতে ব্যবহার করার প্রস্তাব করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব প্রান্তে এর প্রতিবাদ দেখা দেয় । ঢাকায় ছাত্ররা তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা আবুল কাসেমের নেতৃত্বে র্যাসলি বের করে। বৈঠকে বাংলাকে পাকিস্তানের একটি সরকারি ভাষা এবং পূর্ব বাংলার শিক্ষার মাধ্যম করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তবে, পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশন অনুমোদিত বিষয় তালিকা থেকে বাংলাকে বাদ দেয় এবং একই সঙ্গে মুদ্রার নোট এবং স্ট্যাম্প থেকে বাংলা মুছে ফেলা হয়। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ফজলুর রহমান উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেন। এতে বাঙালি জনগণ বিক্ষুব্ধ হয় এবং ছাত্রদের একটি বড় অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাকে একটি সরকারী ভাষা করার দাবিতে ১৯৪৭ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জমায়েত হয়। এজন্য ছাত্ররা ঢাকায় মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
এরই ধারা বাহিকায় যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলাকে মায়ের ভাষা ও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও সশ্রদ্ধ সালাম জানিয়েছেন, সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্জুরুল হাসান (মন্জু) এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম লিটন।
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্জুরুল হাসান (মন্জু) এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম লিটন বলেন “বাংলা মায়ের দামাল সন্তানেরা যারা জীবনের পড়োয়া না করে আমাদেরকে বাংলা ভাষায় কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন, তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও সশ্রদ্ধ সালাম জানাচ্ছি”।
যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ ভাষা,আজ সে ভাষা তার মূল চরিত্র হারাতে বসেছে। দেয়ালের পোস্টার, লিফলেট, বিলবোর্ড, ম্যাগাজিন সহ বিভিন্ন বইয়ে ভুল বানানের ছড়াছড়ি। আসুন ভাষা শহীদদের ও ভাষাকে শ্রদ্ধা দেখিয়ে আজ আমরা দৃপ্ত কন্ঠে শপথ করি, আমরা সবাই সঠিক বানান, সঠিক উচ্চারণ ও সঠিক ভাবে ভাষার ব্যবহারে সচেষ্ট থাকব।
ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চাই এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের হাতকে শক্তিশালী করে ডিজিটাল দেশ বিনির্মাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি’।
বিডিনিউজ ইউরোপ /২০ ফেব্রুয়ারী / জ ইসলাম


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ