শহীদ জিয়ার বীরউত্তম পদক বাতিলের প্রতিবাদে খোরশেদ আলম বলেন সরকারের হটকারী সিদ্ধান্ত দেশবাসী মানবে না
সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় পদক বাতিলের সিদ্ধান্তকে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি চরম অবমাননা বলে মন্তব্য করেছেন নারায়নগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিনি মনে করেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শামিল।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল গতকাল মঙ্গলবার এক সভায় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সহায়তা করার দায়ে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
কাউন্সিলার খোরশেদ বলেন, যদি সরকার এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তা হবে দুর্ভাগ্যজনক। এটা সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করা হবে। কারণ, মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান তাঁর শত্রুরাও স্বীকার করেন। সেখানে যদি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা হবে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চরম অসম্মান ও অবমাননা।’
খোরশেদ আরো বলেন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তিনিই প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করেন এবং তিনি প্রথম বিদ্রোহ করেন কালুরঘাট থেকে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, জেড ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন—এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে?’ তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সরকারই ক্ষমতায় ছিল। তারাই তো জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জিয়াউর রহমানকে সর্বোচ্চ খেতাব বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিল। এখন অন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শামিল হবে। জনগণ এ সিদ্ধান্ত মেনে নিবে না।এধরণের হটকারী সিদ্ধান্ত আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই সরকার ইচ্ছা করে করেছে।
বিডিনিউজ ইউরোপ /১০ ফেব্রুয়ারী / জই