বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পিত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ সভাপতি শহীদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতনের পরিচালনায় এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সর্বইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগ সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী জনাব এম. নজরুল ইসলাম।
এই দিনে ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়ের পর, বাঙালী জাতি অধীর আগ্রহে জাতির পিতার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।১৯৭২ সালে ১০ই জানুয়ারি পিতা মুজিব মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তান কারাগারে পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী দ্বারা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে, লন্ডন, দিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন।বিমান বন্দরে এসে তিনি মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ২৬শে মার্চ, মুক্তিযুদ্ধের ঠিক পূর্বে ,পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান জেলে অন্তরীণ রাখেন।এই দিন , বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ছিল লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশে লোকারণ্য। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (যেখান থেকে তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন ) এসে তিনি ১০ লক্ষের চেয়ে বেশি লোকের সমাবেশে ঐতিহাসিক বক্তৃতা করেন। আবেগঘন বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের প্রহসনের বিচারে তাঁর ফাঁসির আদেশের কথা বলেন এবং নিজের রক্ত দিয়ে বাঙালীর ঋণ শোধ করার কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সেই সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাঠামোর রূপরেখা ঘোষণা করেন। বক্তাগণ বলেন, বঙ্গবন্ধু ফিরে না আসলে বাংলাদেশের বিজয় অপূর্ন থেকে যেত এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন ছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, সোভিয়েত ইউনিয়ন, বিশ্বের গণতান্ত্রিক সকল রাষ্ট্র , জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর চাপে পাকিস্তানি শাসক বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। বক্তাগণ বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর কাছে চিরঋণী থাকবে, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বক্তাগণ বলেন, যেই নেতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়, সে পিতাকে ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট সপরিবারে পাকিস্তানের পরাজিত শত্রুরা হত্যা করে এবং পরবর্তীতে ৩ রা নভেম্বর জাতীয় চার্ নেতাকে হত্যা করে।যেই পিতা নিজের জীবনকে মৃত্যুর মুখোমুখি রেখে , বাঙালির হাজার সংগ্রামকে বাস্তবে রূপ দিয়ে, অকার্যকর পাকিস্তানী রাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলেন, যেই পিতাকে পাকিস্তানিরা হত্যা করতে সাহস করেনি, সে পিতাকে স্বাধীন বাংলাদেশে, স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার মাধ্যমে, হত্যাকারীরা বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। বক্তাগণ সপরিবারে নিহত বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার্ নেতা, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ্ মা বোনের হারান সন্ত্রম, ২০০০ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।বক্তাগণ বঙ্গবন্ধুর রক্তের এবং আদর্শের উত্তরাধিকার জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর এবং শহীদদের কাঙ্খিত সোনার বাংলা প্রতিষ্টার জন্য ইউরোপে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদের আহ্বান জানান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুইডেন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, ফ্রান্স আওয়ামী লীগ সভাপতি এম, এ কাসেম, জার্মান আওয়ামী লীগ সভাপতি বশিরুল আলম চৌধুরী সাবু, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক খোকন শরীফ, পর্তুগাল আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল আলম জসিম, নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাদাত হোসেন তপন, নরওয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান,নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খান, ফিনল্যাণ্ড আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, পর্তুগাল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান,স্পেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রিজভী আলম, নরওয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান,জার্মান আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান, ইউরোপের বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হেদায়েতুল ইসলাম শেলী, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হুমায়ুন মাকসুদ হিমু, উপদেষ্টা ড: ফারুক মির্জা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাউদ খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক আখতারুজ্জামান, মহিলা সম্পাদিকা আয়েশা সরকার, কার্যকরী সংসদ সদস্যা দিলরুবা বেগম মিলি, সাবেরা হাছান, আন্তর্প আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শেখ সেলিম,বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের নেতা প্রকৌশলী ড: মিঠুন রায়, ,বেলজিয়াম যুবলীগের সভাপতি খালেদ মিনহাজ, সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, বেলজিয়াম ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদিকা আনার চৌধুরী , সুইজারল্যান্ড ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি খলিলুর রহমান মামুন, অস্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি নাহিদ সুলতানা এবং বেলজিয়ামের সংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব শেলী মির্জা ।
বিডিনিউজ ইউরোপ /১২ জানুয়ারি / জই