• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় পাঠক আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম এই সাইটি নতুন ভাবে করা হয়েছে। তাই ১৫ই অক্টোবর ২০২০ সাল এর আগের নিউজ গুলো দেখতে ভিজিট করুন : old.bdnewseu24.com

ফরাসিরা শতাধিক অভিবাসীকে করোনার সম্মুখ যোদ্ধাদের পুরষ্কৃত করলেন

কমরেড খন্দকার কর্তৃক সংগৃহীত
আপডেট : বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০

ফরাসিরা শতাধিক অভিবাসীকে করোনা কালীন সম্মুখ যোদ্ধাদের পুরষ্কৃত করলেন

বিশ্বে এই প্রথম দেশ যারা করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সম্মুখ যুদ্ধে মোকাবেলা কারীদের পুরষ্কৃত করে মানবিকতার উৎকৃষ্টতার নজীর সৃষ্টি করলো ফরাসি সরকার।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব মুসলমানদের রোষানল থেকে বেরিয়ে আসতে না আসতেই সমগ্র মানব জাতির নিকট বিশাল মানবিকতার জন্য আবারো আলোচনার শীর্ষে আসলো ফ্রান্স।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ‘সম্মুখসারীর যোদ্ধা’ হিসেবে শতাধিক অভিবাসী কর্মীকে প্রথম শ্রেণির নাগরিকত্ব দিয়ে পুরস্কৃত করেছে ফ্রান্স সরকার। এসব অভিবাসী কর্মী করোনাকালে সামনে থেকে জনগণকে সেবা দিয়ে আসছিলেন। নাগরিকত্ব পাওয়া এসব অভিবাসীর মধ্যে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, ক্লিনার এবং দোকানের কর্মরত ছিলেন। খবর বিবিসির।

ইতোমধ্যে সাত শতাধিক অভিবাসীর সিটিজেনশিপের আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। তাদের নাগরিকত্ব সার্টিফিকেটে দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এ বিষয় নিয়ে আয়েবাপিসির সাধারণ সম্পাদক বকুল খান বলেন শুধু ফ্রান্স নই আমরা আশাকরি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য সব দেশে ও এরই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উচিত।

এ আগে ফরাসি দেশটির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নাগরিকত্বে বিষয়ে দরখাস্ত আবেদন করা হয়েছিল। যারা দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তুলতে মাঠে থেকে কাজ করে আসছিলেন তাদের কাছে থেকে আবেদন গ্রহণ করা হয়। প্রায় ২ হাজার ৮৯০জন অভিবাসী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। তাদের মধ্য থেকে ৭শতাধিক লোককে নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য বাছাই করা হয়।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে করোনায় আক্রান্তদের সেবাদানকারী অভিবাসী কর্মীদের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ৭৪ জনকে নাগরিকত্ব দেয়ার পাশাপাশি ফ্রান্সের পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে। আর ৬৯৩ জনের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

আয়েবাপিসির উপদেষ্টা অষ্ট্রীয়া-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সভাপতি মাহবুবুর রহমান মনে করেন অভিবাসীরা ইউরোপের শত্রু নই এরা পরম বন্ধুর পরিচয় দিয়েছেন করোনা কালীন সহ বিভিন্ন ক্রান্তিকালে তাই ইইউর নীতিমালা প্রণয়ন কারীদের নতুন করে ভাবার সময় এখন।
নাগরিকত্ব বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মারলিন শাপ্পা বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী, ক্লিনার, নারী ক্লিনার, শিশুদের দেখাশুনাকারী এসব অভিবাসী কর্মী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে জাতির সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। তাদের নাগরিকত্ব দিতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। এখন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের দেয়ার সময়।

বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তদের সেবা দিতে গিয়ে অনেক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। ফ্রান্স বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত শীর্ষ ১০টি দেশের একটি। দেশটির প্রায় আড়াই লাখের বেশি মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬২ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছেন।

স্বাভাবিকভাবে ফ্রান্সে নাগরিকত্ব পেতে নির্দিষ্ট বেতনে ন্যূনতম ৫ বছরের অধিক দেশটিতে কাজ করার শর্ত রয়েছে। কিন্তু করোনায় সেবাদানকারী কর্মীদের জন্য দুই বছর নির্ধারণ করেছে ফরাসী সরকার।

বিডিনিউজ ইউরোপ /২৩ ডিসেম্বর / জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ