গ্রিসের হুমকি, ইইউ-র সমালোচনা সব কিছু অগ্রাহ্য করেই পূর্ব ভূমধ্যসাগরে প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ে গবেষণার মেয়াদ আরো বাড়ালো তুরস্ক। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের অনুসন্ধানকারী জাহাজ সেখানে থাকবে।
তুর্কি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত অনুসন্ধানকারী জাহাজ ওরুচ রেইস সেখানে থাকবে। এর আগে বলা হয়েছিল, ৪ নভেম্বর পর্যন্ত অনুসন্ধান চালানো হবে। সম্প্রতি তুরস্ক ও গ্রিসে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে। তারপর ভূমধ্যসাগরে তেল ও গ্যাস নিয়ে বিরোধের সুর কিছুটা নরম করেছিল দুই দেশ। কিন্তু তুরস্ক আবার অনুসন্ধানের সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়ায় গ্রিস জানিয়েছে, এটা বেআইনি কাজ। অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। গ্রীসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সকলের নজর এখন ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের দিকে। এই অবস্থায় তুরস্কের সিদ্ধান্তে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়বে।
গত অগাস্ট থেকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে বিরোধ বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে উত্তেজনাও। ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনের আগে গত ২ অক্টোবর তুরস্ক ওরুচ রেইসকে নিজেদের দেশে ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু ১২ অক্টোবর তা আবার বিতর্কিত জলসীমায় পাঠায় তুরস্ক। তারপর অনুসন্ধানের সময়সীমা দুই বার বাড়ালো তারা।
এদিকে, পশ্চিম তুরস্কের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলে রোববারও উদ্ধারকাজ চলেছে। তবে সেখানে ধ্বংসস্তূপের তলায় জীবীতদের থাকার সম্ভাবনা কমছে। ভূমিকম্পের ফলে তুরস্কে অন্ততপক্ষে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৮০৪ জন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ২০০ জনের। প্রচুর মানুষ গৃহহীন। ভেঙে পড়া বাড়িগুলিতে ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনো কেউ বেঁচে আছেন কি না, সেই খোঁজ চলছে। ৩৪ ঘণ্টা আটকে থাকার পর একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, ততই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবীত থাকার সম্ভাবনা কমে আসছে বলে উদ্ধারকারীরা মনে করছেন।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি, এপি।
বিডিনিউজ ইউরোপ /৪ নভেম্বর / বার্তা সম্পাদক