টেকনাফে নৌ-পুলিশের কড়া অভিযানে ১০,হাজার। মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস।
কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়া উপকূলীয় অঞ্চলের পর্যটন নৌকার ঘাঁটে আজ বেলা ২:00 মি:সময়, নৌ-পুলিশের ইন্সফেক্টর মো:আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ১০,০০০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে।
জানা যায় আজ (৪ নবেম্বর ) বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই অভিযানটি চলমান রয়েছিল।
এদিকে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২২ দিন জেলেরা, সাগরে মাছ ধরার উপরে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অপেক্ষা করে উপকূলীয় বিভিন্ন নৌকার ঘাঁটে অবৈধ কারেন্ট জাল মজুত করেন।
এদিকে নৌ-পুলিশের অত্যন্ত দক্ষ ও চৌকস অফিসার ইন্সফেক্টর মো:আব্দুল্লাহ বলেন,জেলেরা সরকারের নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ২২ দিন পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকলে ও বন্ধের দিন শেষ হবার আগেই তারা সাগরে মাছ ধরতে যায়।
মাছ ধরার খবর পেয়ে টেকনাফের নৌ-পুলিশের একটি বিশেষ দল বাহারছড়ার বিভিন্ন ঘাঁটে টহল দেওয়ার সময় ঘাঁট থেকে পৃথক অভিযানে অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে মৎস্য সম্পদ রক্ষা করেন।
এদিকে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ও ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে ২২ দিন সারাদেশের নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছিল।
গেল,(১৭ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুতও নিষিদ্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে মিলিয়ে মোট ১৫ থেকে ১৭ দিন হচ্ছে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়। এসময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে ছুটে আসে। এই সময়কে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময় ইলিশকে স্বাচ্ছন্দ্যে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতেই সরকার দেশের সব নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
ইলিশ ধরা বন্ধ থাকাকালীন সারাদেশের তালিকাভুক্ত জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশ অমান্য করে কেউ যাতে এ সময় মাছ ধরতে নদীতে নামতে না পারে, সেজন্য নদ-নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হবে।
বিডিনিউজ ইউরোপ /৪ নভেম্বর / বার্তা সম্পাদক