কক্সবাজারে গৃহহীন পূনর্বাসনে সংখ্যালুঘুর জমি চাঁপা ক্ষোভ- উত্তেজনা
বংশ পরস্পরায় ভোগ দখলীয় জোত জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৫০ পরিবারকে পুনর্বাসন করার সরকারি তৎপরতাকে চরম বৈষম্য দাবি করে ঐ তৎপরতা থেকে সরে আসার আহবান জানিয়ে সংবাদ সস্মেলন করেছে সদর উপজেলার খুরুস্কুল ইউনিয়নের একটি সংখ্যালুঘু পরিবার।ঐ জমির ভোগ দখলকার পক্ষের মৃণাল কান্তি চক্রবর্তী জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণের পরিপেক্ষিতে কক্সাজার পৌরসভার ১০ ও ১১ নং ওয়ার্ডের বাস্তুচূত প্রায় সাড়ে তিনশ পরিবারকে খুরুস্কুল আশ্রায়ণ প্রকল্পে পূনর্বাসিত করার পরিকল্পনা নেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। কিন্তু এ পুনর্বাসনের জমি চুড়ান্ত না করেই ঐ পরিবার গুলোকে আগেভাগেই আশ্রায়ণ প্রকল্পের বাইরে খুরুস্কুল মৌজার বি এস ১২১৭ নং দাগে জড়ো করে রেখেছে তারা।ঐ খতিয়ানের ৫.৬২ একর জমিতে তাদের পূর্ব পূরুষ থেকে স্বত্ববান।এ জমির পাশেই পি এফ জমি বিদ্যমান। ঐ জমিতে তারা নানা প্রজাতির ফলজ ও বনজ বাগান সৃজন করে ঐ পাহাড়কে ভাঙ্গার কবল থেকে রক্ষা করে আসছে।বর্তমানে ভোগ দখলদারদের পরিচর্যায় সামাজিক বনায়নও রয়েছে।মৃণাল চক্রবর্তী বলেন,তাদের পাহাড়ি এই জমির পাশে সরকারি খাস খতিয়ানের আরো বিপুল জমি থাকলেও সরকারি কতৃপর্ক্ষ গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় আমাদের জমিতে পূনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করছে এবং রায়তী এ স্বত্বীয় জমিতে জোর পূর্বক ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা এটেঁছে।যা অন্ত্যন্ত বিমাতা সুলভ সরকারি বৈষম্য। তাছাড়া আমাদের জমির সীমানা চিহ্নিত না করে আমাদের অঙ্গাতে শতশত পরিবারকে দখলীয় ঘোনায় লেলিয়ে দেওয়া নিন্দনীয়ও বটে।তারাও সেখানে এই শীতে খোলা আকাশের নীচে বিনীদ্র রজনী পার করছে।তাছাড়া তাদের বিরুপ কর্মকাণ্ডে পাহাড় কাটা ও সৃজিত বনায়ন নষ্ট হচ্ছে।মোদ্দা কথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন পূনর্বাসনের জন্য অপেক্ষমান জনসাধারণকে আমাদের বিরুদ্ধে দাড়ঁ করিয়ে দিয়েছে।মৃনাল কান্তি বলেন,গৃহহীনরা পূনর্বাসিত হোক তা আমরাও চাই।তাই বলে আমাদের বংশানুক্রমিক ভোগের স্বত্বীয় জমি এইভাবে দখলে নিয়ে পূনর্বাসন করাটা কারো কাম্য নয়।সরকার চাইলে অধিগ্রহণ কিংবা আমাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে পূনর্বাসন প্রকল্পের পরিধি আরো বৃদ্ধির সিদ্বান্ত নিলে প্রকল্পটি জনগনের আস্হার মণিকোঠায় স্হান পাবে এতে কোন সন্দেহ নেই বল্লেন তিনি।এদিকে বিষয়টির ব্যাপারে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানান,সংখ্যালুঘু পরিবারের ভোগদখলীয় জমিতে প্রশাসন কীভাবে পূনর্বাসনের সিদ্বান্ত নিয়েছে তা তার জানা নেই।তবে তিনি সরকারি আইন ও নীতিমালার মাধ্যমে এ সমস্যার সুরাহার পক্ষপাতি।
বিডিনিউজ ইউরোপ /২০ ডিসেম্বর / জই