• বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ইউরোপীয় ইউনিয়নে অভিবাসীদের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে অসুস্থ রেজওয়ানুল ইসলাম রায়হানের শয্যাপাশে দুধরচকী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বোমা হামলায় ৩ সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার বিচারের জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাওয়া হবে: ড.ইউনূস হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে ইসরায়েলে বিক্ষোভ পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে- ফ্রি ব্লাড ক্যাম্পিং চিকিৎসক সংকট ‌ব্যাহত হচ্ছে ঝালকাঠিত‌ স্বাস্থ্যসেবা জার্মানিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে আগাম নির্বাচন বাকুতে প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস মণিপুর রাজ্যে নতুন করে সিআরপিএফ-বিদ্রোহী সংঘর্ষে নিহত কমপক্ষে ১১ জন

হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে ইসরায়েলে বিক্ষোভ

কবির আহমেদ কূটনৈতিক বিশ্লেষক আন্তর্জাতিক ডেক্স থেকে বিডিনিউজ ইউরোপ
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে ইসরায়েলে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ।গাজায় হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।সোমবার (১৮ নভেম্বর)ইসরায়ে লের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, সপ্তাহান্তে দেশটির বাণিজ্যিক রাজ ধানী তেল আবিব, বন্দরনগর হাইফা, কারকুরসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে চাপ বৃদ্ধির জন্য এই বিক্ষোভ করেছেন জিম্মিদের আত্মীয়- পরিজ নসহ হাজার হাজার মানুষ।

মিছিলে অংশ নেওয়া এক জিম্মির আত্মীয় ইসরায়েলের দৈনিক ইয়েদিওথ আহরনোথকে বলেন, “যে সরকার তার নাগরিকদের হামাসের সুড়ঙ্গে মরার জন্য পাঠায়, তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। এখন যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, কিন্তু আমাদের নাগরিকরা যেখানে হামাসের সুড়ঙ্গগুলোতে মৃত্যুর মুখে রয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে যুদ্ধবিরতি সম্ভব? তারা (সরকার) এখন জিম্মিদের কথা ভুলে গেছে এবং নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য বিভিন্ন অজুহাত দিচ্ছে।”​

তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ মিছিল ইস্যুতে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। আইডিএফের অভিযোনে গাজায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ, আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক।

এই সংঘাতের শুরু থেকে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। এই তিন দেশের কূটনৈতিক তৎপরতায় গত বছর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এক অস্থায়ী বিরতিতে ১০৭ জন জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন। তবে তারপর থেকে এখন পর্যন্ত অল্প কয়েকজন ব্যতীত আর কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র অভিযানে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির পাশাপাশি অন্তত ৩০ জন জিম্মি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েল যদি গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে অবশিষ্ট সব জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

কিন্তু বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কিছুতেই গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে নন। ফলে জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারটিও ঝুলে আছে।

bdnewseu/19November/ZI/politics,


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ