অস্ট্রিয়াকে “ইউরোপের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ” হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ম্যাগাজিন “কন্ডে নাস্ট ট্রাভেলার”-এর পাঠকদের দ্বারা অস্ট্রি য়াকে “ইউরোপের সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ” হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।বৃহস্প তিবার (১০ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ট্রাভেলার ম্যাগাজিন অস্ট্রিয়াকে ২০২৪ সালের ইউরোপের শ্রেষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসাবে ঘোষণা করেছে। ফলে গত বছরের বিজয়ী আয়ারল্যান্ডকে এখন প্রথম স্থান ত্যাগ করে দ্বিতীয় স্থানে যেতে হয়েছে। আর তৃতীয় স্থান লাভ করেছে ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাগাজিনটির ভাষ্য অনুসারে,অবকাশ বুকিং করার সময় অনেকগুলি বিষয় বিবেচনা করতে হয়-যেমন বাসস্থান, জলবায়ু এবং রন্ধনপ্রণালী। এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে এবছর পর্যটকরা অস্ট্রিয়ার আতিথিয়তাকে ইউ রোপের শ্রেষ্ঠ বলে ভোট দিয়েছে।
যদিও পর্যটকরা দৃশ্যত অস্ট্রিয়ান জনসংখ্যাকে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ হিসাবে অনুভব করেন, তবে অস্ট্রিয়াতে বসবা সকারী প্রবাসীদের জন্য জিনিসগুলি সম্পূর্ণ আলাদা। ১২,৫০০ জনের “Expat Insider” দ্বারা বার্ষিক জরিপে, আলপাইন প্রজাতন্ত্র অস্ট্রিয়া এই বছর “স্থানীয় বন্ধুত্ব” বিভাগে বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শুধুমাত্র কুয়েতের বাসিন্দারা প্রবাসীদের কম বন্ধুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছিল।
“কন্ডে নাস্ট ট্রাভেলার” ব্র্যান্ডের ইতিহাস কয়েক দশক ধরে বিস্তৃত। ম্যাগাজিনটি ৩৫ বছরেরও বেশি আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। স্পেন,ইতালি গ্রেট ব্রিটেন, ভারত, চীন মধ্যপ্রাচ্য এবং জার্মানিতেও এর সংস্করণ রয়েছে।
অস্ট্রিয়া মধ্য ইউরোপের একটি ইইউ ও শেনজেন ভুক্ত রাষ্ট্র। স্থলবেষ্টিত এই দেশের উত্তরে জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্র, পূর্বে স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি, দক্ষিণে স্লোভেনিয়া ও ইতালি, এবং পশ্চিমে সুইজারল্যান্ড ও লিশটেনস্টাইন। অস্ট্রিয়া মূলত আল্পস পর্বতমালার উপরে অবস্থিত। দেশ টির তিন-চতুর্থাংশ এলাকাই পর্বতময়।
অস্ট্রিয়া একটি সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশ। অস্ট্রিয়ার
আয়তন ৮৩,৮৫৫ বর্গ কিলোমিটার। দেশটিতে বসবাস কারী মোট জনসংখ্যা প্রায় ৯৩ লাখ। অস্ট্রিয়ায়প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংখ্যা প্রায় ৬,০০০। প্রবাসীদের সিংহ ভাগই রাজধানী ভিয়েনায় বসবাস করে।
অস্ট্রিয়া ৯টি ফেডারেল রাজ্য দ্বারা গঠিত। দেশটি ইউরোপের ৬টি রাষ্ট্রের অন্যতম যারা স্থায়ীভাবে নিরপে ক্ষতা ঘোষণা করেছে। অস্ট্রিয়া ১৯৫৫ থেকে জাতি সংঘের এবং ১৯৯৫ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য।
অস্ট্রিয়া অতীতে হাবসবুর্গ রাজাদের অধীনস্থ একটি বিস্তৃত শক্তিশালী সাম্রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র ছিল। ভিয়েনা ছিল সেই সাম্রাজ্যের রাজকীয় রাজধানী। ভিয়েনা এখনও বিশ্বের অন্যতম প্রধান শহর হিসেবে আদৃত। এর রাজকীয় রূপ, অসাধারণ বারোক স্থাপত্য, সঙ্গীত ও নাট্যকলা জগদ্বি খ্যাত। ভিয়েনা বর্তমানে অস্ট্রিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।
bdnewseu/10October/ZI/feature