• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় পাঠক আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম এই সাইটি নতুন ভাবে করা হয়েছে। তাই ১৫ই অক্টোবর ২০২০ সাল এর আগের নিউজ গুলো দেখতে ভিজিট করুন : old.bdnewseu24.com

বন্যার পরিস্থিতির অবনতি, শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

সুরুজ আলী সূর্য, ময়মনসিংহ
আপডেট : মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪

বন্যার পরিস্থিতির অবনতি, শতাধিক গ্রাম প্লাবিত।
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি দেখা দিয়েছে। এতে জেলার তিন উপজেলার ২১ ইউনি য়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত।বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক। রোববার (৬ অক্টোবর ) বিকেলে জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্ম কর্তা এসব তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন।হালুয়াঘাটের পানিবন্দি এলাকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রগুলোতে বতর্মানে নারী শিশুসহ দেড় সহস্রাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

এতে দুর্গতদের জন্য তিন উপজেলায় ৩০ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে।এছাড়াও রান্না করা খাবারও দেওয়া হচ্ছে দুর্গতদের।অপর একটি সূত্র জানায়, ধোবা উড়া উপজেলার কলসিন্দুর, জিগাতলা, পঞ্চন ন্দপুরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। দুর্গত দের মধ্যে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তবে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করছেন প্রশা সন। এছাড়াও পানিবন্দি অনেক মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে।

ফুলপুর উপজেলার ছনধরা, রামভদ্রপুর, সিংহেশ্বও, ফুলপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ ও অন্যান্য ইউনিয়নের আংশিক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার আমন ফসল ও সবাজি খেত তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে মাছের খামার। উপজেলা সদর থেকে কলসিন্দুর পাকা রাস্তা, ঘোষগাঁও ধোবাউড়া পাকা রাস্তা, ঘোষগাঁও বালিগাঁও পাকা রাস্তা, মুন্সিরহাট বাজার থেকে শালকোনা পাকা রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে , জেলার ধোবাউড়া উপজেলায় নিমজ্জিত ধান ১১ হাজার ৭০০ হেক্টর, সম্পূর্ণ নিমজ্জিত সাত হাজার ৫০০ হেক্টর, আংশিক নিমজ্জিত চার হাজার ২০০ হেক্টর ও সবজি ৬০ হেক্টর। হালুয়াঘাটে নিমজ্জিত ধান সাত হাজার ৬০০ হেক্টর, সম্পূর্ণ নিমজ্জিত চার হাজার ১০০ হেক্টর, আংশিক নিমজ্জিত তিন হাজার ৫০০ হেক্টর ও সবজি ৭৫ হেক্টর। ফুলপুরে নিমজ্জিত ধান তিন হাজার ৬৩০ হেক্টর, সম্পূর্ণ নিমজ্জিত এক হাজার ৪৮০ হেক্টর, আংশিক নিমজ্জিত দুই হাজার ১৫০ হেক্টর ও সবজি ৬২ হেক্টর।

স্থানীয় মানুষের ভাষ মতে , এমন বন্যা আগে কখনও দেখি নাই। ১৯৮৮ সালের বন্যা দেখেছি, এমন পানি ছিল না। বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে। গরু ছাগল নিয়ে বিপদে আছি। গরু পানির মধ্যে বাঁধা। আমরা খুব সমস্যায় আছি। চলাফেরা খুব সমস্যা, রাস্তায় বুক সমান পানি। ফসলের অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। আমন ধান পানির নিচে। এবার আমন ধান পাবো, এমন আশা করা যায় না। অনেক শাকসবজি জমি তলিয়ে গেছে।

bdnewseu/8October/ZI/Flood


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ