সমুদ্রে উদ্ধার কাজ অনিয়মিত অভিবাসনকে উৎসাহিত করে না: ফ্রন্টেক্স প্রধান।ভূমধ্যসাগরে অভিবাসন প্রত্যাশী দের উদ্ধারে বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত উদ্ধার জাহাজগুলোর কার্যক্রম নিয়ে অভিযোগ করে আসছে ইতালি।শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ইউরোপের সংবাদ মাধ্যম ইউরোনিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা ফ্রন্টেক্স প্রধান হানস লাইটেনস বলেন, ভূমধ্যসাগরে অভি বাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারে বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত উদ্ধার জাহাজগুলোর কার্যক্রম অনিয়মিত অভি বাসনকে উৎসাহিত করছে না। তিনি আরও বলেন, চলতি বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্তে অনিয়মিত প্রবেশের চেষ্টা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ কমেছে৷
তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনি আমাকে কখনও বলতে শোনেননি যে, এটি (ভূমধ্যসাগরে বেসরকারি সংস্থাগুলোর উদ্ধারের জাহাজের কার্যক্রম) অনিয়মিত অভিবাসনকে উৎসাহিত করছে৷ এজন্য আমার মতামতও এটাই৷’’ লাইটেনস বলেন, ‘‘আমাদের কর্মকর্তাদের প্রথম কাজটি হলো স্থলে কিংবা সাগরের মানুষের জীবন বাঁচানো৷ আমরা কতদূর কী করতে পারি, তা আমাদের জনবল ও সামর্থ্যের উপর নির্ভর করে৷ তবে সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমি আবার বলছি, সব ফ্রন্টেক্স এজেন্ট সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার শপথ নিয়েছে৷ আমরা সেটাই করি, সেটাই আমাদের অগ্রাধিকার৷’’
এদিকে, ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা এনজিওগুলোকে বরাবরই দোষারোপ করে আসছে ইতালি৷ উদ্ধার জাহাজগুলোর কার্যপরিধি সীমিত করে আনতে নানা উদ্যোগও নিয়েছে ইতালির ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনির সরকার৷
মৌলিক অধিকারের প্রতি বাড়তি মনোযোগ
গত বছর থেকে ফ্রন্টেক্সের দায়িত্ব নিয়েছেন হানস লাইটেনস৷ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই সংস্থাটির কার্যক্রম সম্পর্কে নিয়মিতভাবে ইউরোপীয় পার্লামেন্টকে অবহিত করে আসছেন তিনি৷
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বেশ কয়েকজন সদস্য উল্লেখ করেছেন, লাইটেনস তার তার পূর্বসূরি ফ্যাব্রিস লেগেরির চেয়ে অভিবাসীদের মৌলিক অধিকারের প্রতি বেশি মনোযোগ দিয়েছেন বলে তাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে৷ অন্যদিকে, ফ্রন্টেক্সের সাবেক প্রধান লেগেরি এখন ডানপন্থি প্যাট্রিয়টস ফর ইউরোপের হয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন৷
২০২৪ সালের প্রথম সাত মাসে ইউরোপীয় সীমান্তে অনিয়মিতভাবে প্রবেশের চেষ্টা ৩৬ কমেছে বলে জানিয়েছে ফ্রন্টেক্স৷ বিশেষ করে, বলকান এবং সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় অভিবাসন রুটে নজরদারি বাড়ানোর কারণেই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
অন্যদিকে, স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল বেড়েই চলেছে৷ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে৷ এছাড়া বেলারুশ থেকে বাল্টিক দেশগুলোতে অভিবাসীদের আগমন প্রায় তিন গুণ বেড়েছে৷ জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে রেকর্ড সংখ্যক শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপে এসেছেন৷
bdnewseu/7 September/ZI/Politics