ফ্রান্সের উপকূলে অনিয়মিত অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবিতে নিহত ১২, নিখোঁজ ২।ফ্রান্সের উত্তর উপকূল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যো পৌঁছা নোর চেষ্টার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের সদ্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানা তার এক্স হ্যান্ডেলে এ তথ্য দিয়েছেন৷ তিনি জানান, চ্যানেলের বুলন-সুর-মের উপকূলে নৌকা ডুবিতে মঙ্গলবার ১২ অভিবাসী মারা গেছেন এবং আরও দুই জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন৷
এদিকে ফ্রান্সের সংবাদ মাধ্যম ফ্রঁন্স ৩ জানিয়েছে, এ ঘটনায় নৌকায় থাকা আরো বেশ কয়েকজন অভিবাসী জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছেন৷ অভিবাসীদের উদ্ধারে বুলোন-সুর-মের উপকূলের কাছে ফ্রান্সের একটি বড় উদ্ধারকারী দল অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেও নিশ্চিত করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ৬০ জনেরও বেশি অভিবাসী ছিলেন৷ যাদের কারো কাছে লাইফ জ্যাকেট ছিল না৷ নিহতদের মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্করাও রয়েছেন৷ এদিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করেছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ৷
জীবিত উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের যত্ন নিতে একটি উন্নত চিকিৎসাসেবা দলও সেখানে নেয়া হয়েছে৷ বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিকেরা সেখানে বেশ কয়েকটি মরদেহ রাখার ব্যাগ দেখতে পেয়েছেন৷ ব্যাগগুলোতে নিহতদের মৃতদেহ রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
স্থানীয় ফরাসি প্রেফেকচুর জানিয়েছে, নৌকাডুবির ঘটনায় ৬৫ জনের মধ্যে ১২ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে এবং আরও কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, ফ্রান্সের চার্টার উদ্ধার জাহাজ মিনক অভি বাসীবাহী নৌকাটির ঝুঁকি টের পেয়ে দ্রুত উদ্ধারে যোগ দিয়েছে৷
অভিবাসন সংস্থা ইতুপিয়া ৫৬ এর মুখপাত্র শার্লত কোয়েন্তে এএফপিকে বলেছেন, আমরা ফরাসি উপকূলে পুলিশের দমন নীতির নিন্দা জানাচ্ছি৷ যা সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর এবং বিয়োগান্তক ঘটনার জন্ম দেয়৷ আড়াই মাস ধরে প্রায় প্রতি সপ্তাহে চ্যানেলে কোন না কোন দুর্ঘটনার সংবাদ আসছে৷
চলতি বছরের গ্রীষ্মের শুরু থেকে একের পর এক নৌকাডুবি এবং অভিবাসী মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে৷
১২ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে তিনটি পৃথক নৌকাডুবির ঘটনায় ছয় জন অভিবাসী মারা গেছেন৷এ নিয়ে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর চেষ্টারত ৩৫ অভিবাসী মারা গেছেন৷ যা ২০২১ সালের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে৷ ওই বছর চ্যানেলে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৭৷
bdnewseu/3September/ZI/Refuse