বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাভাবিক কোন নিয়ম বর্হিভূত ভাবে নির্বাচিত হওয়ার কারণে জনগণের কাছে এসব জনপ্রতিনিধিদের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। এছাড়াও অন্যান্য বহু কারণ তো রয়েছেই।এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এবং একটি সিস্টেমের পরিবর্তনের জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে জনপ্রতিনিধি সরিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে এসব কথা জানান তিনি।
এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, যারা রাষ্ট্রের সংস্কার চায়। তাই স্থানীয় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
এ জন্য তাদের প্রত্যেককে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।তবে কাউন্সিলরদেরও অপসারণ হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
এর আগে, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়র, ৬০ জেলা পরিষদ, ৪৯৩ উপজেলা পরিষদ, ৩২৩টি পৌরসভার চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে সবগুলো প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগের আদেশও জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, কতদিনের জন্য প্রশাসক নিয়োগ হলো সেটার কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নিয়োগ হবে কিনা তা পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে।
bdnewseu/19August/ZI/politics